খেলাধুলা

লিটনের সেঞ্চুরিতে রাঙা বাংলাদেশের ২৭৬ রান

রঙিন পোশাকে বড্ড বিবর্ণ হয়ে ছিলেন লিটন দাস। সীমিত পরিসরে যাকে ঘিরে এতো উচ্ছ্বাস সেই তিনি-ই কি না দিনের পর দিন হতাশ করে আসছিলেন। আস্থা হারিয়ে দল থেকে বাদও পড়লেন।

তাকে নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছিল বেশ। বোর্ড প্রধান তাকে ওপেনিংয়ের বদলে মিডল অর্ডারে খেলানো কথাও বলেছিলেন। তবে বেশিদিন দলের বাইরে থাকতে হলে না। ‘অস্থির’ টিম ম্যানেজমেন্ট এক ম্যাচ পরই তাকে ফেরালেন দলে। ফিরেই লিটন পেলেন সেঞ্চুরির স্বাদ। ক্যারিয়ারের চতুর্থ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয়।

হারারেতে লিটনের সামনে খুব চেনা ও প্রিয় প্রতিপক্ষ। নিজেও ছিলেন না ফর্মে। দলের অবস্থাও ভালো না। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরিতে আস্থা অর্জন হতে পারে বড় সুযোগ। ২২ গজে সেই সুযোগটিই নিলেন লিটন। শুরু থেকেই উইকেটে সময় দিচ্ছিলেন। রানের খাতা খুলতে লেগে যায় ১০ বল। ৩৫তম বলে আসে প্রথম বাউন্ডারি। হাফ সেঞ্চুরি ৭৮ বলে।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রান তোলায় তাড়াহুড়া না দেখিয়ে টিকে রইলেন। তাতে ভালো ফল পেল বাংলাদেশ। ১১০ বলে লিটন পেয়ে যান সেঞ্চুরি। তাতে জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২৭৬। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ৭৮ বল খেললেও পরের ৫০ রান পেতে মাত্র ৩২ বল নেন লিটন। খুব বেশি বাউন্ডারিতে জোর দেননি। সিঙ্গেল ও ডাবলসে ছিল তার মনোযোগ। ১০২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ৮টি। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড নাগারাবার শর্ট বল পুল করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে শেষ হয় তার লড়াই।

লিটনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ম্যাচে এই দুইজনই দলকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করেছিলেন। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর তারাই আবার জুটি বেঁধে দলকে উদ্ধার করেন। তাতে বাংলাদেশ পায় লড়াকু পুঁজি। জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ৩৩ রান রেখে অবদান রাখেন। ৫২ বলে ১ ছক্কার ইনিংসটি মন্থর হলেও ছিল সময়োপযোগী।

শেষ দিকে আফিফ হোসেন দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মিরাজ। তাদের ৪১ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে শেষটা বাংলাদেশ নিজেদের করে নেয়। মিরাজ ব্যাট থেকে ২৫ বলে আসে ২৬ রান। আফিফ ৩৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান করেন।