খেলাধুলা

নিজের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে দলকে জেতালেন সাকিব

সাকিবের ব্যাট হাসছিল না দীর্ঘদিন। ব্যাটিংয়ে ছন্দটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। আউট হওয়ার ধরণ ছিল দৃষ্টিকটু। রান না পাওয়ায় কতটা বিরক্ত তা চোখেমুখে স্পষ্ট বোঝা যেত। বারবার হতাশ হয়ে তার ড্রেসিংরুমে ফেরার দৃশ্য কষ্ট বাড়াতো। সেই সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। ৯৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে নিশ্চিত করলেন ওয়ানডে সিরিজ।

সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে, তখন স্থির হয়ে খেললেন ধ্রুপদী ইনিংস। তাতে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ নিজেদের করে বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি অনেক বেশি চিন্তা করছিলাম, যা এই ম্যাচের আগে পরিবর্তন করেছি। কিছু জিনিস এই ম্যাচের আগে আমাকে মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করেছে। চেষ্টা করবো এই মনোযোগ যেন ধরে রাখতে পারি।’

‘পরিশ্রম তো করতেই হয়, তবে মানসিকতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন খেলার পর এখন যে অবস্থায় আছি, খুব বেশি টেকনিক্যাল সমস্যা হয় না। মানসিক সমস্যাই বেশি হয়। মানসিক গেম যদি নিজের সঙ্গে নিজে জিততে পারি তাহলে মনে হয় আমার জন্য নিয়মিত রান করা সম্ভব।’ –যোগ করেন তিনি।

এই সিরিজের আগে আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া, কোথাও ভালো করতে পারেননি সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে করেন মাত্র ১৯ রান। ঢাকা লিগে ৮ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১০০ রান। জিম্বাবুয়েতে টেস্টেও সাকিবের ব্যাট হাসেনি। প্রথম ওয়ানডেতেও ছিলেন নিষ্প্রভ। শেষমেশ সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে সাকিব দেখালেন নিজের কারিশমা।

প্রথম ম্যাচে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। আজ ২ উইকেটের সঙ্গে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা উঠেছে তার হাতে। নিজের ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলের জয়ে বেশি তৃপ্তি পাচ্ছেন সাকিব, ‘দলের জেতার জন্য বড় অবদান ছিল, সেদিন থেকে খুশি। সবসময় দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি। দুইদিনই তা করতে পেরে খুবই খুশি।’