খেলাধুলা

অলিম্পিকে খেলোয়াড়দের জন্য ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’!

করোনার তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন অলিম্পিক আয়োজন করছে জাপান। শুক্রবার উঠবে অলিম্পিকের পর্দা। এবারের টোকিও অলিম্পিক হচ্ছে কড়া বিধিনিষেধের ভেতরে। খেলোয়াড়দের নিয়মের বেড়াজালে আটকে দিয়েছে আয়োজকরা। 

গেমস ভিলেজে খেলোয়াড়রা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবে না, কিভাবে কী করতে হবে, কোন নিয়মে চলতে হবে সেসবের তালিকা তাদের পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছে তাদের জন্য। সেখানে সকল নিয়মকানুন উল্লেখ আছে। 

সেসবের মধ্যে অন্যতম যৌন মিলন। এবার গেমস ভিলেজে যৌন মিলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে আয়োজকরা। খেলোয়াড়দের জন্য যে খাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার নামই দেওয়া হয়েছে, ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’। খাটগুলি এমনভাবে বানানো হয়েছে যে একজনের বেশি মানুষ খাটে উঠলে তা ভেঙে যাবে। কার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো এই খাটগুলো তৈরির উপকরণ আবারও অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে। জানা গিয়েছে, এই বিছানা ২০০ কেজি পর্যন্ত ওজন ধরে রাখতে সক্ষম।

খেলোয়াড়দের জন্য এই বিছানা তৈরি করেছে জাপানি সংস্থা এয়ারউইভ। এয়ারওয়েভ এই বছর অলিম্পিক খেলোয়াড়দের জন্য ১৮,০০০ বিছানার গদি তৈরি করেছে। 

রিও অলিম্পিকসের ৫০০০ মিটারে রূপজয়ী অ্যাথলেট পল চিলেমো টুইটারে এই বিছানার ছবি প্রকাশ করেন। পোস্টে লিখেন,‘টোকিও অলিম্পিকে কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা দেওয়া হচ্ছে। এই বিছানা কেবলমাত্র একজনেরই ভার বহন করতে পারবে। তবে আমাদের মত যারা লম্বা দৌড়ে অভ্যস্ত এই ওজনের নির্ধারিত সীমার মধ্যেই চার জন বিছানা শেয়ার করতে পারব।’

অলিম্পিকের রীতি অনুযায়ী গেমস ভিলেজে ঢোকার সময় কনডম বা জন্ম নিরোধক দেওয়া হয়। এবারও সেগুলি দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে। কিন্তু সেগুলি ব্যবহার না করে স্মারক হিসেবে দেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যৌনমিলন নিষিদ্ধ করায় খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে কতটা ঝরঝরে থাকবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।