খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহর দুইশ, পাঁচ বছর পর ওয়ানডেতে সোহান

পঞ্চম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ ওয়ানডে খেলার অনন্য কীর্তি গড়লেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচে দলে ফিরেছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান পাঁচ বছর পর দলে ফিরলেন। তার সঙ্গে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমানও।  

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাহমুদউল্লাহ নিজের ৫০তম ম্যাচ খেলেছিলেন। যদিও ম্যাচটি তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে আছে। এবার ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তিনি। 

২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক। ২০১০ সালে ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাম্বুলাতে। চার বছর পর শততম ম্যাচটি হয়েছিল ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে ঢাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ১৫০ ম্যাচ খেলেন জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার। ৩ বছর পর এবার দুইশতম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। 

১৯৯ ওয়ানডেতে ৩৪.৯১ গড়ে ৪৪৬৯ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। নামের পাশে আছে তিন সেঞ্চুরি, ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি। তিন সেঞ্চুরির দুইটি এসেছে ২০১৫ বিশ্বকাপে। অপরটি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে। তবে মাহমুদউল্লাহর অবদান পরিসংখ্যানের থেকেও অনেক বড়। 

দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৬ সালে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ২২৭ ওয়ানডে। মাশরাফি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছেন ২২০টি। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ২১৮টি। ২টি ম্যাচ খেলেছেন এশিয়া একাদশের হয়ে। এছাড়া তামিম ২১৮, সাকিব ২১৪ ম্যাচ খেলেছেন। 

সোহানের ওয়ানডে অভিষেক ২০১৬ সালে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ওয়ানডেতে ৬৮ রান করে দল থেকে ছিটকে যান। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও সোহান সুযোগ পাচ্ছিলেন না। মূলত উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনায় আসছিলেন না তিনি। কিন্তু নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য একধাপ এগিয়ে নেওয়ায় তাকে নিতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

দলের নিয়মিত মুখ মোস্তাফিজ প্রথম দুই ওয়ানডে খেলতে পারেননি গোড়ালির চোটে। প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় ওয়ানডে শরিফুলকে বিশ্রাম দিয়ে তাকে খেলানো হচ্ছে। শরিফুল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে পেয়েছিলেন ১টি।