খেলাধুলা

পরাজয়ের কারণ জানালেন মাহমুদউল্লাহ

একমাত্র টেস্ট, তিন ওয়ানডের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়। জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে পুরো কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের পারফরম্যান্সে বারবার আড়াল হচ্ছিল স্বাগতিকদের লড়াই। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সব পেয়ে গেলো জিম্বাবুয়ে। অসাধারণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের জয়রথ থামিয়েছে। ধারাবাহিক জয়ের কারণে কি জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিয়েছিল বাংলাদেশ? আত্মতুষ্টিতে ভুগেছিল কি না এমন প্রশ্নও উঠছে। দলীয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সাফ জানিয়ে দিলেন, দল মোটেও আত্মতুষ্টিতে ভোগেনি।

সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়া ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ার আক্ষেপ ঝরলো অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘আমার মনে হয় না আমাদের ওই ধরনের (আত্মতুষ্টি) মানসিকতা ছিল। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগিনি। আমার মনে হয় আমরা এই ম্যাচেও মনোযোগী ছিলাম। জয়ের জন্য প্রত্যয়ী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়তো আমরা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এই কারণে আমরা ম্যাচটা হেরেছি।’

মাহমুদউল্লাহ আরও বলেন, ‘দেখেন একটা ম্যাচে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তার মানে এই নয় যে, আমরা খারাপ দল হয়ে গেছি। ওরা আজকে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। ফিল্ডিংয়ে আমাদের কিছু সুযোগ ছিল সেগুলো আমরা নিতে পারিনি। এই ভুলগুলো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক বড় হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই ভুলগুলো আর যেন না করি, সেটাই লক্ষ্য থাকবে।’

১৬৭ রানের লক্ষ্যে নেমে টপ ও মিডল অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান তাড়াহুড়ো করেছেন। কোনও জুটি আসেনি টপ বা মিডল অর্ডার থেকে। বড় শট খেলতে গিয়ে সৌম্য, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী ও সোহান আউট হয়েছেন।

টি-টোয়েন্টিতে এ লক্ষ্য অনায়েসে তাড়া করা যায়। কিন্তু বাড়তি শট খেলার প্রবণতা, শট নির্বাচনে তালগোল পাকিয়ে ম্যাচ শুরুতেই হেরে যায় বাংলাদেশ। অবশ্য ব্যাটসম্যানদের ভুল খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক, ‘ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। ১৬০ প্লাস রান তাড়া করতে গেলে উপরে ঝুঁকি নিতেই হবে। শুরুতে আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম, এই কারণে আমরা কিছুটা চাপে ছিলাম। যেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ৫০ কিংবা ৩০ রানের জুটি তৈরি করা। আমরা সেটি পারিনি।’