খেলাধুলা

অলিম্পিকে সোনা জিতলেন ৬৩ হাজার জনসংখ্যার দেশের অ্যাথলেট

বারমুডার ৩৩ বছর বয়সী ফ্লোরা ডাফি। বাইক ভেঙে যাওয়ায় ট্রায়াথলনে শেষ করতে পারেননি ২০০৮ সালের অলিম্পিক। চার বছর পর প্রতিযোগিতা শেষ করেন ৪৫ নম্বরে থেকে। আর এবার তিনিই গড়লেন ইতিহাস, তাও আবার সঙ্গে ছিল না কোনও কোচ কিংবা বাইক মেকানিক। মাত্র ৬৩ হাজার জনসংখ্যার দেশকে প্রথম অলিম্পিক সোনা এনে দিলেন ডাফি। তাতে করে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে অলিম্পিক সোনা জয়ের ইতিহাস গড়লো বারমুডা।

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছের এই দ্বীপরাষ্ট্রের হয়ে চতুর্থবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন ডাফি। ট্রায়াথলনের ৫৬ উইমেন ফিল্ডে তিনি সবার আগে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছান এক ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। গ্রেট ব্রিটেনের জর্জিয়া টেইলর ব্রাউন ও যুক্তরাষ্ট্রের কাটিয়ে জেফারার্সের চেয়ে এক মিনিটেরও বেশি এগিয়ে ছিলেন।

বারমুডা এরই মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক পদক জিতেছিল ১৯৭৬ সালে বক্সার ক্লারেন্স হিলের ব্রোঞ্জের সুবাদে। এখন তারা পেলো তাদের প্রথম স্বর্ণজয়ীকে।

ডাফি বলেছেন, ‘পাঁচ বছর ধরে অনেক চাপ ছিল। এই পাঁচ বছর ধরে কখনও অলিম্পিক ফেভারিট বলা হয়নি আমাকে। এখন অবশ্যই আমি এর দাবিদার। আমি মনে করি পুরো বারমুডা এখন পাগলপ্রায়। এজন্যই এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু, এটা ছিল আমার স্বপ্ন। কিন্তু আমি এটাও জানতাম যে স্বপ্নটা আমার চেয়েও বড়।’

তরুণ বয়সে ব্রিটেনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ডাফি। এরই মধ্যে তিনি বারমুডার প্রথম নারী কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ২০১৮ সালে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখেছেন। এবার তার চেয়েও বেশি কিছু করে ফেললেন তিনি।