খেলাধুলা

দুই ওপেনারের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি। দ্রুত ওপেনাররা আউট হয়ে গেলে প্রভাব পড়ে পুরো দলের ব্যাটিংয়েই। বেড়ে যায় চাপও। তৃতীয় ম্যাচে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরুর দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে সিরিজ; তাই আছে বাড়তি দায়িত্বও।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ভালো পুঁজির জন্য দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে রানের কোনো বিকল্প নেই। প্রথম দুই ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়ার পর সাকিব আল হাসান তিনে নেমে সামলে নিয়েছিলেন (৩৬, ২৬), কিন্তু সাকিব যদি ব্যর্থ হন তাহলে কী হবে?

দুই ম্যাচেই সৌম্য সাজঘরে ফেরেন শুরুতেই। প্রথম ম্যাচে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাত্র ২ রানে বোল্ড হন হ্যাজলউডের বলে। এরপর পার নাঈম-সাকিব, সাকিব-মাহমুদউল্লার ছোট ছোট জুটিতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা যায় কিছুটা।

দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য-নাঈম দুজনেই ফিরে যান শুরুতে। বাংলাদেশ ২১ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। সেদিন সাকিব-মেহেদির জুটিতে (৩৭) দ্রুত উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের বলে সৌম্য এবার বোল্ড হন ০ রানে; আর আগের ম্যাচে ৩০ রান করা নাঈম এবার করেন মাত্র ৩ রান।

দারুণ ফর্মে থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামেন সৌম্য সরকার। এর আগের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজ। দুটি ম্যাচে হাঁকান ফিফটি (৬৮, ৫০) কিন্তু দেশের মাটিতে চেনা পরিবেশে সৌম্য যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।

অন্যদিকে নাঈম প্রথম ম্যাচে রান পেলেও ব্যর্থ ছিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তারও আগে মার্চে  নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও নাঈম পেয়েছিলেন রানের দেখা (২৭, ৩৮, ১৯)।

নিউ জিল্যান্ডে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিং করেছেন নাঈম। আর জিম্বাবুয়ে-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে  লিটন-তামিম কেউই না থাকায় সৌম্য-নাঈমই একমাত্র ভরসা। এছাড়া দলে কোনো নেই ব্যাকআপ ওপেনারও। সেক্ষেত্রে এই দুজনের জ্বলে ওঠা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাদের সেই দায়িত্ব নিয়েই খেলতে হবে।

কিন্তু টানা ব্যর্থতার বৃত্তে থাকলে বিকল্প ভাবনা ভাবতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। যেমন সিরিজ শুরুর আগে সেই আভাস দিয়েছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দুই ওপেনারের কেউ যদি চোটে পড়েনকিংবা রান খরায় থাকেন তাহলে কী হবে? এমন প্রশ্নে ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন সাকিব ও মোহাম্মদ মিঠুনের কথা।    

ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমরাও এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। সাকিব আমাদের দলে আছে। তাকে আমরা এগিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করাতে পারি। মোহাম্মদ মিঠুন আমাদের দলে ফিরেছে। যদিও সে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে এই ফরম্যাটে তাকে দিয়েও ইনিংস শুরু করাতে পারি আমরা। তারা দুজন আমাদের ভাবনায় আছে যদি কোনো ওপেনার ইনজুরিতে পড়ে বা অন্য কোনো সমস্যা হয়। আমি মনে করি আমাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড় আছে।’    

আজ কী পারবেন তারা নিজেদের প্রমাণ করতে? নাকি টিম ম্যানেজম্যান্ট বাধ্য হবে বিকল্প ভাবনায়। সময়ই বলে দেবে!