খেলাধুলা

সেই ক্রিস্টিয়ানই সাকিবের এক ওভারে ৫ ছক্কা মারলেন

তাই বলে ৫ ছক্কা হাঁকাবেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। তাও আবার সাকিব আল হাসানের বলে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস্টিয়ান ছিলেন খলনায়ক। শুক্রবার (৬ আগস্ট) ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের ৪ বল ডট খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে সেই ক্রিস্টিয়ান এলোমেলো করে দিলেন সাকিবকে।

লক্ষ্য মাত্র ১০৫ রানের। প্রথম ওভারে ম্যাথু ওয়েডকে মেহেদী হাসান সাজঘরে ফেরালে ব্যাটিংয়ে আসেন ক্রিস্টিয়ান। প্রথম বলে নেন ২ রান। পরের বলে ৪ রান। আক্রমণাত্মক এ ব্যাটসম্যানকে উপরে পাঠানোর একটাই উদ্দেশ্য ছিল ভয়ডরহীন ব্যাটিং। সেই কাজটা ম্যাচের চতুর্থ ওভারে করলেন সিদ্ধহস্তে। সাকিব প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন ৫ রান। উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় ওভারে উইকেট নেবেন। কিন্তু ক্রিস্টিয়িান তো তাকে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখালেন।

সাকিবের প্রথম বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফ্লিক করে লং অন দিয়ে ছক্কা উড়ালেন। দ্বিতীয় বল শর্ট ছিল। শরীরটাকে হালকা ঘুরিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ওয়াইড লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে। তৃতীয় বল স্লগ সুইপ করে মিড উইকেট দিয়ে গ্যালারিতে। ছক্কার হ্যাটটিক।

নতুন বল নিয়ে মাঠে আসেন তৃতীয় আম্পায়ার। চতুর্থ বল স্লগ সুইপ করে চালালেও খানিকটা টার্নস থাকায় বেঁচে যান সাকিব। কিন্তু শেষ দুই বলে আর পারেননি। পঞ্চম বল উইকেটের উপরে ছিল। এবারো জায়গায় দাঁড়িয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠান। বিমর্ষ সাকিব শেষ বলটা করলেন সবচেয়ে বাজে। স্লটে পেয়ে ক্রিস্টিয়ান সবচেয়ে বড় ছক্কাটি হাঁকান। ব্যস ৩০ রান। সাকিব এলোমেলো হয়ে গেলেন ক্রিস্টিয়ান ঝড়ে। 

টি-টোয়েন্টিতে এর আগেও এক ওভারে সাকিব ৩০ রান দিয়েছেন। কিন্তু এতগুলো ছক্কা খাননি। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল তার ওভারে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৩০ রান নিয়েছিলেন। বিপিএলের এক ম্যাচে মাশরাফি সাকিবের ওভারে মেরেছিলেন ৪ ছক্কা। 

সাকিবকে মেরে তুলোধুনো করলেও মোস্তাফিজ আসতেই পথ হারান ক্রিস্টিয়ান। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বল পয়েন্ট দিয়ে উড়াতে গিয়ে শামীমের হাতে ক্যাচ দেন। মাত্র ১৫ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৩৯ রান করে ক্রিস্টিয়ান ফেরেন সাজঘরে।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে দিনটিও দেখে ফেললেন সাকিব। ৪ ওভারে আজ ৫০ রান দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে যা তার সবচেয়ে খরুচে বোলিং। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৯ দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচেই বার্ল ৩০ রান তুলেছিলেন। এছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৬ সালে খরচ করেছিলেন ৪৫ রান।