খেলাধুলা

এখনো খেলা উপভোগ করছেন সাকিব

প্রথম চার ম্যাচে তিন উইকেট, শেষ ম্যাচে সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে নিলেন সাকিব আল হাসান। তার বোলিং ফিগার ৩.৪-১-৯-৪। অবিশ্বাস্য, এই সিরিজের সেরা বোলিং। ম্যাচসেরা ও সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়ে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমি এখনো খেলাটা উপভোগ করছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

দলের সবাই পারফরম্যান্স করছে দেখে মুগ্ধ সাকিব, ‘সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সহায়তা ছাড়া এই অর্জন সম্ভব হতো না। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই সিরিজেই আমরা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি। হ্যাঁ, উইকেট কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা স্নায়ুচাপ ধরে রেখে দলগত পারফর্ম করেছি।’

প্রতি ম্যাচেই দলগত স্কোর ছিল ধরাছোঁয়ার মধ্যে। কিন্তু বোলাররা দারুণ পারফর্ম করায় চারটি ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়েছে মনে করছেন সাকিব, ‘গত ম্যাচে আমরা ১০৪ রান করেও ম্যাচ প্রায় শেষ ওভারে নিয়েছিলাম। আমরা জানতাম, আজ ১২০-১৩০ রান করলেই ম্যাচে টিকে থাকব। ব্যাট হাতে ভালো শুরুর পর মোমেন্টাম ছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ ছিল না, তবে পুরো সিরিজ জুড়ে বোলাররা দারুণ করেছে।’

মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের পেস এবং নাসুম আহমেদের সঙ্গে নিজের স্পিন- বোলিংয়ে ভালো একটা সমন্বয় দেখে আশাবাদী সাকিব, ‘আমরা সব ক্ষেত্রেই উন্নতির চেষ্টা করছি। আমাদের পেসাররা দ্রুত অনেক উন্নতি করেছে। তারা সত্যিই অনেক ভালো করছে। মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন, শরিফুল বা জিম্বাবুয়েতে তাসকিনের পারফরম্যান্স দেখুন, সবাই দারুণ বোলিং করেছে। তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবে পারফর্ম করছে, তা আমাদের কাজ সহজ করে দিচ্ছে। আমরাও আমাদের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এটা স্পিন ও পেসের খুব ভালো এক কম্বিনেশন ছিল।’

এই ম্যাচে প্রথম দুটি উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে একশ উইকেটের মালিক হন সাকিব। লাসিথ মালিঙ্গার পর তিনি এই মাইলফলক। তবে একশ উইকেটের সঙ্গে এক হাজার রান আর নেই কারো। এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া, ‘আমি জানি না আর কেউ করেছে কি না! মালিঙ্গার তো ১ হাজার রান নেই। হ্যাঁ, মাঝেমাঝে রেকর্ডে চোখ রাখি!’