খেলাধুলা

নিউ জিল্যান্ড সিরিজে রানবান্ধব উইকেটের পতাকা তুললেন ডমিঙ্গো

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে ভালো মানের উইকেটে খেলার প্রত্যাশা করেছিলেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তার এমন চাওয়া ছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খেলেছে চিরাচরিত ধীর গতির উইকেটে। যেখানে বল থেমে থেমে ব্যাটে এসেছে। ছিল অসমান বাউন্স। স্পিনাররা প্রাধান্য বিস্তার করেছে। পেসাররা তেমন সুবিধা করতে না পারলেও লাইন ও লেন্থ ঠিক রেখে বল করায় ব্যাটসম্যানরা হাত খুলে মারতে পারেনি।

সিরিজে সব মিলিয়ে রান হয়েছে ১০৬২। যা টেস্ট খেলুড়ে দলের দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে সবচেয়ে কম। বিশ্বকাপের দুই মাস আগে এমন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলা আদর্শ কিনা তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভুলে গেলে চলবে না সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। সামনে নিউ জিল্যান্ড সিরিজ। তাদের বিপক্ষেও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অন্তত ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের প্রত্যাশায় ডমিঙ্গো,‘আপনি কোন উইকেটে খেলছেন তার ওপর রান নির্ভর করে। জিম্বাবুয়েতে ২০০ রান তাড়া করাও কঠিন নয়। জানি বড় রান করতে হবে, কিন্তু সেটা ভালো উইকেটে। নিউ জিল্যান্ড সিরিজে ভালো উইকেট প্রত্যাশা করছি। সিম মুভমেন্ট আছে এমন উইকেট এখানে পাব না জানি। ব্যাটসম্যানদের জন্য রানবান্ধব উইকেট চাই।’

তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যে উইকেটে খেলা হয়েছে তাতে মাঠকর্মীদের বিশেষ কিছু করার ছিল না তা জানিয়ে ডমিঙ্গো বলেন,‘আমি মাঠকর্মী নই। আমি মাঠ প্রস্তুত করতে পারব না, এটা আমার কাজ না। আমি আশা রাখতে পারি ভালো উইকেটের। আবহাওয়ার এই অবস্থায় উইকেট ভালো রাখা কঠিন হয়ে যায়। তেমন রোদ নেই, উইকেট শুকনো রাখা যাচ্ছে না। আর্দ্রতার কারণে বছরের এই সময়টায় উইকেট ধীরই থাকবে। আমিও চাই ভালো উইকেট হোক। কিন্তু এটা কঠিন।’

সিরিজে মোস্তাফিজ ছিলেন দূর্বোধ্য। ভয়ংকর কাটার ও মায়াবি স্লোয়ারে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের নাচিয়েছেন এ বাঁহাতি। চিরচেনা কন্ডিশনে মোস্তাফিজের থেকে এমন কিছুর প্রত্যাশায় ছিলেন ডমিঙ্গো,‘  মোস্তাফিজের ক্ষেত্রেও সেই কন্ডিশনের ব্যাপার। এই কন্ডিশনে মোস্তাফিজ বিশ্বের সেরা বোলার। এই কন্ডিশনে তার বল খেলা যায় না, বিচিত্র অ্যাকশনে এখানে বল করে, তাকে ফর্মে ফিরতে দেখতে অনেক ভালো লাগছে।’

জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তরুণ দল নিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। দলে তামিম, মুশফিক ও লিটনের মতো নিয়মিত একাদশের ক্রিকেটাররা ছিলেন না। নিউ জিল্যান্ড সিরিজে তামিমকে পাওয়া যাবে না। তবে লিটন ও মুশফিক দলে ফিরবেন। দলের শক্তি বাড়ায় স্বস্তি ডমিঙ্গোর,‘দলে জায়গা ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগিতা দারুণ ব্যাপার। মুশফিক তো পরের সিরিজেই ফিরবে। লিটনও ফিরবে আশা করি। তবে তামিম থাকছে না। ভালো খেলোয়াড়দের ফিরে পাওয়া স্বস্তির। তবে তরুণদের ভালো করতে দেখে অনেক ভালো লাগছে।’

তবে নাঈম ও সৌম্যর ওপেনিং জুটি ছিল না একদমই ছন্দে। তাদের থেকে বড় ইনিংস না আসায় রান পেতে সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে তাদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও সমালোচনা একদমই পছন্দ নয় ডমিঙ্গোর,‘আপনি কি জানেন বাংলাদেশিদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি র্যাং কিংয়ে নাঈম শীর্ষে? সৌম্যকে নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু এক সিরিজ আগেও তো সে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিল। এই সিরিজে কয়জন ওপেনার রান করতে পেরেছে? অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। হ্যাজলউড, স্টার্ক বিশ্বের সেরা বোলার। পিচও ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন। খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে হবে। এক-দুই ম্যাচে রান পেলে দল থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। এই ব্যাপারে অনুগ্রহ করে আপনারা সংযত হন।’