২০১৯ সালের জুলাইয়ে লর্ডস ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। তারপর থেকেই দারুণ সময় কাটাচ্ছে তারা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি অদম্য ইংলিশরা। দারুণ সাফল্য পেয়েছে তারা এই ফরম্যাটে, যা বিশ্বকাপের আগে দলকে করে তুলেছে আত্মবিশ্বাসী। অধিনায়ক এউইন মরগ্যান বলছেন, ধারাবাহিকতাই তাদের বড় শক্তি।
ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত দুই বছরে আটটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে মাত্র একটি হেরেছে ইংল্যান্ড, ভারতের মাটিতে। আর একটি ড্র, বাকি ছয়টিতে জয়। এই ধারাবাহিকতা অক্টোবর-নভেম্বরে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে বিশ্বাস মরগ্যানের।
আইসিসিকে ইংলিশ অধিনায়ক বললেন, ‘আমি মনে করি আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ধারাবাহিকতা, আমাদের গত দুই বছরের পারফরম্যান্স।’ তবে সতর্ক তিনি, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলা খুব দ্রুত বদলে যায় এবং আমাদের গ্রুপে দারুণ সব প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া কয়েকটি দল আছে। এজন্য আমাদের কাছে প্রত্যেক ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামী ২৩ অক্টোবর আবুধাবি স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন। এছাড়া সুপার টুয়েলভে তাদের গ্রুপ ওয়ানে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাছাই থেকে ওঠার অপেক্ষায় ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ।
প্রথম দল হিসেবে একই সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ ইংল্যান্ডের সামনে। এমন অর্জনের হাতছানি থাকার মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী মরগ্যান, ‘আমাদের গতি সুন্দরভাবে চলছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমরা সবসময় আরো ভালো দল হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং চলতে চলতে শিখছি। আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।’
পাঁচ বছর আগের সবশেষ আসরে ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠেছিল। শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ১৯ রান, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট টানা চার ছক্কা মেরে তাদের স্বপ্ন ভেঙে দেন। দুই বল হাতে রেখে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যারিবিয়ানরা।