খেলাধুলা

উইকেট নিয়ে এত কথাবার্তা পছন্দ হচ্ছে না বিসিবির

উইকেট এই হবে নাকি ওই হবে? এমনটা হলে ভালো হতো! মিরপুর শের-ই-বাংলার ২২ গজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজ থেকে চলছে নানা কথাবার্তা। থামেনি নিউ জিল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজেও। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে ইতিহাস গড়া ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানও মত প্রকাশ করেন এভাবে, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন উইকেট ছিল।’ উইকেট নিয়ে এত কথাবার্তা আর আলোচনা পছন্দ হচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।

ক্রিকেটে বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ সাফল্য পাচ্ছে। তবে আলোচনায় জয়ের ধরন ও মিরপুরের ২২ গজ নিয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা বরাবরই বিভ্রান্তি ছড়ায়। বিদেশি দলগুলো তো বটেই, স্থানীয় ক্রিকেটাররাও ধাঁধায় থাকেন। মাহমুদউল্লাহ যেমন প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে বলছিলেন, ‘আমাদেরকেও মিরপুরের উইকেটে যতদ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে।’ স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানদেরও যখন মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার চলে আসে, তখন বুঝতে হবে পিচ রহস্যে ভরা। অবশ্য এই রহস্য ভরা উইকেট নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনা পছন্দ হচ্ছে না বিসিবির।

বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান তো উইকেট প্রসঙ্গ উঠতেই ক্ষেপে গেলেন, ‘উইকেট খারাপ হলে তা দুই দলের জন্যই ছিল। শুধু নিউ জিল্যান্ডের জন্য খারাপ ছিল, তা না। আমাদের খেলোয়াড়রাও কষ্ট করে রান করেছে। উইকেট যেমনই হোক দুই দলের জন্যই তো সমান থাকছে।’

উইকেটে পড়ে বল থেমে যাচ্ছে, টার্ন করছে, উঁচু-নিচু হচ্ছে। মন্থর উইকেটে রানের ফোয়ারা নেই। নেই বাউন্ডারির ফুলঝুরি। স্পিনারদের স্বর্গ হয়ে ওঠা উইকেটে ব্যাটসম্যানরা যেন অসহায়। আকরাম খান স্বীকার করেছেন, স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ উইকেট প্রস্তুত করেছে। পাশাপাশি বর্তমান আবহাওয়ার বিষয়টিও সামনে নিয়ে আসলেন তিনি, ‘আরেকটি ব্যাপার হলো এখনকার আবহাওয়ার কারণে উইকেট শুকানো যাচ্ছে না। উইকেটে কভার দিয়ে রেখেছি। এগুলো কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যেমন উইকেট পাই, বছরের এই সময়ে এমন উইকেট পাই না। এখন ভালো উইকেট আশা করা কঠিন। উইকেট আরো ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলেছি- উইকেট আরো একটু ভালো করা গেলে প্রস্তুতি আরও ভালো হবে।’

পাশাপাশি নিউ জিল্যান্ড দলের চাওয়া পূরণের কথাও জানালেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে মিরপুরের বাইরে খেলতে নারাজ কিউইরা। ফলে মিরপুরে পাঁচ ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। খেলতে হবে ব্যবহৃত উইকেটে। উইকেট প্রস্তুতিতে যে সময় পাওয়া যাচ্ছে না বিষয়টিকে বড় করে দেখছেন তিনি, ‘আরো সমস্যা হচ্ছে একই মাঠে খেলা। আমরা চেয়েছিলাম দুটি ভেন্যুতে যাতে খেলা হয়। ওরাই চেয়েছে একটা ভেন্যুতে খেলতে। ওরা এখানেই খেলবে, বাইরে যাবে না। কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়া খেলে গেছে, এখন নিউ জিল্যান্ড খেলছে। উইকেটেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। সবকিছু বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা অনুরোধ করেছি আরো ভালো উইকেট রাখার।’