খেলাধুলা

ওপেনাররা রানে ফেরায় উচ্ছ্বসিত মাহমুদউল্লাহ

অবশেষে মিরপুরের উইকেটে সন্তোষজনক রানের দেখা পাওয়া গেল। রান এলো বাংলাদেশের ওপেনারদেরও ব্যাটে। দেশের মাটিতে গত ছয় ম্যাচে বোলাররা কৃতিত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স করলেও ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংসের দেখা মিলল ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে। ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে তাই বোলারদের সঙ্গে তাদের নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

এর আগের ৬ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ছিল ৪২ রানের। সপ্তম ম্যাচে এসে তা পঞ্চাশ পার করে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান। ৫৯ রান করে ভিত্তি গড়ে দেন দুই ওপেনার লিটন ও নাঈম। আগের ম্যাচের মতো স্লো উইকেট দেখা যায়নি এই ম্যাচে; তবে শুরুতে রান করা কঠিন ছিল বলে জানান অধিনায়ক। তাই দুই ওপেনারকে কৃতিত্ব দিতে কার্পণ্য করেননি। 

মাহমুদউল্লাহ বলেন বলেন, ‘নতুন বলে এই উইকেটে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন। যখন বলের সিম শক্ত থাকে তখন বল বেশ বাউন্স করে, কয়েকটা বল স্কিড করে। কিছু আবার জোরে বাঁক খায়। সেদিক থেকে নাঈম ও লিটন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের যেমন শুরুটা দরকার ছিল পাওয়ার প্লেতে, একদম আদর্শ শুরু এনে দিয়েছে তারা।'

নাঈম ৩৯ ও লিটন ৩৩ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ নিজেও বড় অবদান রাখেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া সোহানের সঙ্গে শেষ জুটিটা ছিল বেশ কার্যকর। মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'মাঝেও আমাদের বেশ কিছু ভালো জুটি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা ১৪১ রান করতে পেরেছি, যা এই উইকেটে ভালো স্কোর ছিল।'

ব্যাটসম্যানরা রান করে দিয়েছেন; কাজ ছিল বোলারদের। সাকিব-মেহেদীর সঙ্গে মোস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দল। মাহমুদউল্লাহ বোলারদের প্রশংসা করে বলেন, 'আমার মনে হয় উইকেট আজকে বেশ ভালো ছিল আগের ম্যাচের তুলনায়। কিন্তু দিনের বেলায় আমরা যখন ব্যাট করছিলাম সে সময় স্পিন খুব ধরছিল, বাউন্সও একটু উঁচু নিচু হচ্ছিল। কিন্তু ফ্লাড লাইটের আলোতে আমার মনে হয় উইকেট বেশ ভালো ছিল, অনেক বেশি ভালো ছিল। আমার মনে হয় বোলাররা এই পিচে অনেক ভালো বোলিং করেছে, ১৪১ ডিফেন্ড করতে পেরেছে।'

টম ল্যাথামের দৃঢ়তায় একসময় মনে হয়েছিল নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ বের করে নিয়ে যাবে। তবে মোস্তাফিজরা তা হতে দেননি। জয়ের বন্দরে পৌঁছার আগেই থামিয়ে দেন তাদের। শেষ দিকের চ্যালেঞ্জ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলায় কম বেশি এই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন প্রায় সময় হতে হবে। শেষ এক ওভার বা দুই ওভার যেটা আজকে হয়েছে, সেখানে মোস্তাফিজ অসাধারণ বল করেছে এবং খুব ভালোভাবে শেষ করেছে, এজন্য আমরা ম্যাচটি জিততে পেরেছি।’