দেশে শুরু হতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন খেলা। নাম তার সেস্টোবল। আর্জেন্টিনায় ১৮৯৭ সালে শুরু হওয়া এই খেলাটি ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। এবার এই খেলাটি শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেও। গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ সেস্টোবল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের আয়োজনে ও ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হবে ‘ওয়ালটন প্রথম জাতীয় সেস্টোবল প্রতিযোগিতা-২০২১ (নারী ও পুরুষ)।’
তার আগে আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় রেফারি ও কোচদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক ( গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, মার্কেটিং) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেস্টোবল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক আজম আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা আক্তার। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রায়হান উদ্দিন ফকির।
এই কর্মশালায় রেফারি ও কোচরা ছাড়াও ৫০ জন নারী ও পুরুষ খেলোয়াড় অংশ নেন। প্রশিক্ষণ কর্মাশালা শেষে তারা একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন।
সেস্টোবল মূলত হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবলের সমন্বিত খেলা। যেখানে উভয় দলে ১০ জন করে খেলোয়াড় থাকে। তার মধ্য ৬ জন মাঠে খেলার সুযোগ পান। দুই অর্ধে বাস্কেটবলের মতো দুটি গোলপোস্ট থাকে। হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবলে গোল হলেও সেস্টবল খেলা হয় পয়েন্টের ভিত্তিতে। সেস্টবলের কোর্টের হাফ কোর্ট/সেন্ট্রাল লাইন থেকে যদি কেউ গোল করে তাহলে ৩ পয়েন্ট হয়। বক্সের মধ্যে থেকে গোল করলে ২ পয়েন্ট। আর পেনাল্টি থেকে গোল করলে হয় ১ পয়েন্ট। দুই অর্ধে ২০-২০ করে মোট ৪০ মিনিট খেলা হয়। মাঝে বিরতি থাকে ৫ মিনিটের। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জনকারী দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘ওয়ালটন গ্রুপ যেকোনো নতুন খেলাকে স্বাগত জানায়। নতুন খেলাকে প্রোমোট করতে চায়। তরুণ প্রজন্মকে বেশি বেশি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি খেলাধুলায় তরুণ প্রজন্মকে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করে তাদের স্ক্রিন আসক্তি ও অন্যান্য খারাপ প্রবৃত্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। তাদেরকে একটা ডিসিপ্লিনের মধ্যে রেখে সুস্থ-সবল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার সহযোগিতায় ছিল ওয়ালটন গ্রুপের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল। মিডিয়া পার্টনার ছিল এটিএন বাংলা। রেডিও পার্টনার ছিল রেডিও টুডে। আর অনলাইন পার্টনার ছিল দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম।