খেলাধুলা

সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওরা ৩ জন

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা। নানা পথ পেরিয়ে, নানা রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, রেণু ছড়িয়ে সপ্তম আসরের পর্দা ওঠার অপেক্ষা।

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী দলগুলির স্কোয়াড গোছানো শেষ পর্যায়ে। প্রায় সবকটি দল স্কোয়াড ঘোষণাও করে ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করল। স্কোয়াড ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার অনন্য এক মাইলফলকে নিজেদের জড়িয়ে নিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে নিজেদের নাম জড়িয়ে নিলেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে না নিলে এ তালিকায় নিশ্চিত জায়গা পেতেন। ক্রিকেট বিশ্বের খুব কম খেলোয়াড়ের এমন অর্জন আছে। ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মা, ডোয়াইন ব্রাভো, রস টেলরদের মতো কয়েকজন এই তালিকায় জায়গা পাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের পথ চলা শুরু সবার আগে। ২০০৫ সালে তার অভিষেক হয়েছিল লর্ডসে। তবে রঙিন পোশাক পেতে তাকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আর্বিভাব সাকিবের। মাহমুদউল্লাহর যাত্রা শুরু ২০০৭ সালে । সাকিব ও মুশফিক ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নাইরোবিতে মাহমুদউল্লাহর মাথায় উঠে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ।

ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে একটু পর যাত্রা শুরু করলেও ম্যাচ সংখ্যায় মাহমুদউল্লাহই এখন সবচেয়ে এগিয়ে। সফররত নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শততম টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। বিশ্বকাপের নেতৃত্বের ভার পাওয়া মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১০১টি। সাকিব খেলেছেন ৮৮টি ও মুশফিক ৯০টি।

 

* সাকিব ২৫ ম্যাচে ৫৬৭ রান ও ৩০ উইকেট।

* মুশফিক ২৫ ম্যাচে ২৫৮ রান।

* মাহমুদউল্লাহ ২২ ম্যাচে ১৯৪ রান, ৮ উইকেট।