খেলাধুলা

মেসির আনন্দাশ্রু

ফাইনালে গত ১০ জুলাই মারাকানায় ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি হাতে নিয়েছিলেন বহুল আকাঙ্ক্ষিত ট্রফি। ঠিক দুই মাস পর সেই ট্রফি আবারও হাতে নিলেন, এবার নিজ ঘরে, ২০ হাজার আর্জেন্টাইন দর্শকের সামনে। এমন মুহূর্তে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না মেসি, কেঁদে বুক ভাসালেন, যাকে বলে আনন্দ অশ্রু।

কোপা আমেরিকার শিরোপা জয় উদযাপনের আগে জাদু দেখান মেসি। বুয়েন্স আয়ার্সে মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিততে হ্যাটট্রিক করেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। ১৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে গোল করে ছোঁন পেলেকে। ৬৪তম মিনিটে একজন ডিফেন্ডারকে ড্রিবলিংয়ে বোকা বানিয়ে হয়ে যান দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ গোলদাতা। শেষ দিকে গোলরক্ষক শট ফিরিয়ে দিলে সুযোগ বুঝে তৃতীয় গোল করেন। রেকর্ড ৭৯ গোল এখন তার নামের পাশে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২৬তম গোল করে দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ গোলদাতাও হয়েছেন মেসি, পেছনে ফেলেছেন দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সাবেক বার্সা সতীর্থ উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজকে।

দিনটা পুরোই নিজের করে নেন মেসি। ম্যাচ শেষে ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড অশ্রু চোখে বললেন, ‘আমি সত্যিই চেয়েছিলাম এটি (আন্তর্জাতিক শিরোপা) উপভোগ করতে। এটার জন্য আমি দীর্ঘদিন প্রতীক্ষা করেছি, স্বপ্ন দেখেছি। অনেক অপেক্ষঅর পর যেভাবে এটার দেখা পেলাম, তা সত্যিই অনন্য মুহূর্ত। এখানে এটা উদযাপন করার চেয়ে ভালো কিছু আর নেই। আমার মা, ভাইয়েরা স্ট্যান্ডে আছে। তারা অনেক ভুগেছিলেন এবং আজ তারা এখানে এসে উদযাপন করছেন। আমি খুব খুশি।’

পরে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন মেসি, ‘আমি এই দিনের জন্য অনেক স্বপ্ন দেখেছি, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তা সত্যি হলো। আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। কী সুন্দর একটা রাত, আমি সত্যিই উপভোগ করেছিলাম, অবিস্মরণীয়।’