খেলাধুলা

‘অস্ট্রেলিয়াকে থামানো যে কারও জন্য কঠিন হবে’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই বছর ভালো যায়নি অস্ট্রেলিয়ার। তিনটি সিরিজ খেলে সবগুলোই হেরেছে, বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশে তদের ব্যর্থতা ছিল চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর মতো। তারপরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে আশাবাদী অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে এই দলকে থামানো যে কারও জন্য কঠিন হবে বললেন তিনি।

কারণ দলে ফিরছেন সুপারস্টাররা। আট মাস হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার জার্সি পরেননি স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও প্যাট কামিন্স। ছয় মাস ধরে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেননি ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস ও কেন রিচার্ডসন। এই ছয়জনকেই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার মিশনে দলে পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও ফিরছেন।

এই সাতজনকে ফিরে পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার শক্তিমত্তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তারা যদি একসঙ্গে হয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে আকাঙ্ক্ষিত ট্রফি মিললেও মিলতে পারে। ম্যাক্সওয়েল বিশ্বাস করেন, অস্ট্রেলিয়া তাদের সুযোগগুলো লুফে নিলে প্রতিপক্ষদের হাপিত্যেশ করতে হবে।

আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে অজি অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমি মনে করি তারা খুব ভালো। যখন এই দল একসঙ্গে হবে, আমি মনে করি আমরা আমাদের সেরা অবস্থানে ফিরে যাব। আমরা এর জন্য মুখিয়ে আছি।’ টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ওপেনিং জুটি ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের সঙ্গে মিডল অর্ডারে ছন্দ ফেরাতে থাকবেন স্মিথ। আর বোলিং আক্রমণ তো তারকাখচিত। সব বাধা পেরোনোর আত্মবিশ্বাস ম্যাক্সওয়েলের মনে।

দলকে নিয়ে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমাদের লাইন আপটা একটু দেখুন, আমরা ম্যাচ বিজয়ীতে ভরা একটি দল পেয়েছি। এমন খেলোয়াড় আছে যারা তাদের দিনে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নিতে পারে। যে কোনো দিন যখন আমাদের খেলোয়াড়দের একজনও সুযোগ পায়, আমাদের জিতিয়ে দিতে পারে। আমরা যদি সেটা (সুযোগ) নিতে পারি, তাহলে আমাদের থামানো যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন হবে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া এই আসরে সফল হতে কী করতে হবে, সেটাও বলে দিলেন ম্যাক্সওয়েল, ‘এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে দারুণ শুরু। টুর্নামেন্টের শুরুতেই ভালো করতে পারা, আগুন ফর্মে থাকা কয়েকজন খেলোয়াড় ও ভালো ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান পাওয়া এবং দ্রুত উইকেট নেওয়া; এসবই হবে টুর্নামেন্ট জেতার জন্য দলগুলোর চাবিকাঠি।’

চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এক নম্বর দল ইংল্যান্ড ও বিপজ্জনক দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রতিপক্ষ নিয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ানরা। সুপার টুয়েলভের বাধা পেরোতে সেরাটা দিতে হবে মনে করেন আত্মবিশ্বাসী ম্যাক্সওয়েল, ‘এই বিশ্বকাপে কোনো দুর্বল দল নেই। আমরা জানি আমাদের দিনে প্রত্যেককে হারানোর ভালো সুযোগ আছে আমাদেরও। দুই গ্রুপই কঠিন হতে যাচ্ছে, এটা ব্যাপার নয়। আমি যেমনটা আগে বললাম, এই বিশ্বকাপে দুর্বল দল নেই। তাই আমাদের জন্য সব ম্যাচ কঠিন হতে যাচ্ছে। যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলি, আমি মনে করি সেটাই হবে যথেষ্ট।’

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ মিশনে নামার আগে ম্যাক্সওয়েল, ওয়ার্নার, স্মিথ ও স্টয়নিস আমিরাতে আইপিএলের বাকি অংশ খেলবেন। নিশ্চিতভাবে এটা তাদের জন্য বাড়তি প্রস্তুতির দারুণ সুযোগ। আগামী ২৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপ অভিযাত্রা।