খেলাধুলা

চার দিনের ম্যাচের প্রায় দুই দিনই বৃষ্টির পেটে

বাংলাদেশ ‘এ’ ও হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের মধ্যকার চলমান চার দিনের ম্যাচের শেষ  দিন খেলাই হয়নি। এর আগে তৃতীয় দিন খেলা হয় মাত্র ৫.৪ ওভার। চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রায় দুই দিনই চলে যায় বৃষ্টির পেটে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে বল গড়ায়নি একটিও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেন অফিসিয়ালরা। 

এর আগে গতকাল তৃতীয় দিন খেলা শুরু হয় সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরিতে দুপুর ২টায়, কিন্তু ২৬ মিনিটে ৫.৪ বলের বেশি চলেনি খেলা। এরপর বৃষ্টি ঝরতে থাকায় সাড়ে ৩টায় আম্পায়ার দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ‘এ’ দল ৩৩৯ রান তোলে সব উইকেট হারিয়ে। সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্ত। মাত্র ৪ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। ২০৩ বল ও ৩০২ মিনিটের ইনিংসটিতে চারের মার ছিল ৮টি ও ছয়ের মার ছিল ৩টি। এছাড়া ১৭৪ বলে ১০টি চার ও ২টি ছয়ে ইরফান শুক্কুর ৮৫ রান করেন। জাতীয় দলের আরেক ওপেনার সাদমান থামেন হাফসেঞ্চুরি করে। ১৩৩ বলে ৮টি চারের মারে ৫৮ রান করেন তিনি। হাসান মুরাদের বলে মাহমুদুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাদমান ফেরেন সাজঘরে।

শান্ত-সাদমান রান পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার সাইফ হাসান ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী। দুজনেই ক্রিজে থিতু হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৯ বলে ১৫ রান করেন সুমন আর ৩৬ বলে ২১ রান আসে ইয়াসিরের ব্যাট থেকে।

এইচপি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সুমন খান। ২২.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫৬ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন ইরফান। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন হাসান মুরাদ।

‘এ’ দলের বিশাল রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান জমা না হতেই হাইপারফরম্যান্স দল হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তার মধ্যে দুই উইকেটই নেন নাঈম। পরপর দুই বলে তিনি ফেরান মাহমুদল হাসান (১) ও শাহাদাত হোসাইনকে (০)। এর আগে  দলীয় ২৯ রানে ওপেনার পারভেজ হোসাইনকে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফেরান বোল্ড করেন শহীদুল ইসলাম। এরপর গতকাল অল্প সময়ের জন্য ব্যাটিং করতে নামলেও আর কোনো উইকেট হারায়নি আকবর আলীর দল।  তানজীদ হাসান ৩১ ও তৌহিদ হৃদয় ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

বৃষ্টির বাগড়ায় কোনো বল না গড়ানোয় ব্যাটিংই করতে পারেনি এইচপি দল। ড্রতে শেষ হয় ম্যাচ।