খেলাধুলা

মুশফিক-ইমরুলের ব্যাটে রান, দ্যুতি ছড়ালেন তানজীদ

রানে ফিরতে মরিয়া হয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ইমরুল কায়েস ছিলেন সুযোগের অপেক্ষায়। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জার্সিতে দুইজনই নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করেছেন।

বিসিবি এইচপি দলের বিপক্ষে মুশফিক ৯১ বলে করলেন ৭০ রান। ইমরুল সুযোগ পেয়ে ৮১ বলে খেলেন ৬০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তাতে বিসিবি এইচপির বিপক্ষে ৬ উইকেটে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এর আগে তানজীদ হাসান তামিমের ৮১ রানের দ্যুতি ছড়ানো ইনিংসে এইচপি দল সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ২৪৭ রান। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। 

বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিক। ২২ গজে তার ব্যাটে সব সময়ই রানের ফোয়ারা। কিন্তু সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সিরিজে দলে ফিরে পাঁচ ম্যাচে করেন মাত্র ৩৯ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজের এমন পারফরম্যান্স মেনে নিতে পারছেন না কোনোভাবেই। এজন্য নিজেকে ঝালিয়ে নিতে ‘এ’ দলের হয়ে মাঠে নামার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। বিসিবিও সেই সুযোগটি করে দেয় তাকে। 

টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে আলাদা ফরম্যাট হলেও ম্যাচ অনুশীলন বড় বিষয়। সেই কাজটাই আজ করেছেন মুশফিক। তবে তার ইনিংসটি ছিল ধীর গতির। ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে লম্বা সময় ক্রিজে থাকার চেষ্টাতেই মন্থর ব্যাটিং করেছেন। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে স্বাভাবিক খেলেছেন। পেসার সুমন খানের বল উইকেট থেকে সরে গিয়ে স্কুপ করে ৭৭ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। 

ইমরুলও প্রায় একই গতিতে ইনিংস লম্বা করেছেন। দীর্ঘদিন পর বিসিবির কোনো দলে ঢুকে ইমরুল রান তৃষ্ঞা মিটিয়েছেন। ৮১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে সাজান তার ৬০ রানের ইনিংস। আমিনুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল তার ইনিংস। 

মুশফিকের সঙ্গে ২৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। এছাড়া ওপেনার ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ২৯, নাজমুল ইসলাম শান্ত ২৭ রান করেন। বল হাতে ৪ উইকেট পাওয়া মোসাদ্দেকের ব্যাট অবশ্য হাসেনি। ২৪ রানে ফেরেন তিনি। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে এইচপির শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩ রানে আউট হন পেসার শহীদুল ইসলামের বলে। এরপর ১৩০ রানের জুটি গড়েন তানজীদ ও মাহমুদুল হাসান দিপু। দুইজনের ব্যাটে অতি সহজে আসছিল রান। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে এইচপির ব্যাটিং অর্ডার। 

মাহমুদুল হাসান ৩৮ রানে আউট হওয়ার পরপরই তানজীদের দ্যুতি ছড়ানো ইনিংসটি থেমে যায় ৮১ রানে। ৯৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ রান করে মোসাদ্দেকের বলে এলবিডাব্লিউ হন বাঁহাতি ওপেনার। আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান শাহাদাত হোসেন ৫১ রান করেন ৬৪ বলে। আকবর আলী চেষ্টা করলেও ২৮ রানের বেশি করতে পারেনি। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারেনি এইচপি দল। 

বল হাতে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মোসাদ্দেক ‘এ’ দলের সেরা বোলার। রুবেল হোসেন ৩২ রানে ২টি ও শহীদুল ৫০ রানে সমান উইকেট পেয়েছেন। 

একদিন বিরতির পর একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলবে দুই দল। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির আগে সেই ম্যাচটিতেও খেলবেন মুশফিক।