খেলাধুলা

৯ অক্টোবর যোগ দেবেন সাকিব-মোস্তাফিজ 

দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হচ্ছে রোববার (৩ অক্টোবর) থেকে। রাতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ওমানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলে খেলছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা দুইজন ৯ অক্টোবর বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।  

স্থগিত হওয়া আইপিএলের খেলা চলছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সে  সাকিব ও রাজস্থান রয়্যালসে খেলা মোস্তাফিজ আরব আমিরাত অংশের শুরু থেকেই আছেন। আইপিএলে এখন চলছে প্লে-অফে ওঠার লড়াই। রাজস্থান-কলকাতা টিকে আছে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে।

১২ ম্যাচ শেষে কলকাতার পয়েন্ট ১০। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান চার নম্বরে। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে রাজস্থানের পয়েন্ট ৮। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে দুই দলের সামনে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দুই দলেরই রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচ ৭ অক্টোবর। প্লে-অফের খেলা শেষ হবে ১৩ অক্টোবর। ফাইনাল ১৫ অক্টোবর। 

সাকিব ও মোস্তাফিজের দল শেষ চারে উঠলেও তাদের খেলা হবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্র রাইজিংবিডি-কে জানিয়েছে লিগ পর্বের খেলা শেষে দুজন যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। 

সূত্রটি জানায়, 'সাকিব-মোস্তাফিজ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ৯ অক্টোবর। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের অনাপত্তিপত্র দেওয়া আছে। তাদের দুজনেরই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।' 

রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওমানের বিমান ধরবেন মাহমুদউল্লাহরা। পরের দিন ওমানে পৌঁছে একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে অনুশীলন। চারদিন টানা অনুশীলনের পর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব ও মোস্তাফিজ।  

একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনের পর ১১ অক্টোবর দল নামবে অনুশীলনে। এরপর ১২ ও ১৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। 

আইপিএল স্থগিতের আগে ভারতে প্রথম তিন ম্যাচ খেলার পর বাদ পড়েন সাকিব। পরের চার ম্যাচে ছিলেন সাইডবেঞ্চে। এরপর মরুর বুকে চলা বাকি অংশেও একাদশে ফেরা হয়নি তার। পাঁচ ম্যাচে সাকিবকে ছাড়াই খেলছে কলকাতা। তিন ম্যাচে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল নিষ্প্রভ। বোলিংয়ে মাত্র ২ উইকেট, ব্যাটিং রান করেছেন ৩৯।  

সাকিব নিজের ছায়া হয়ে থাকলেও মোস্তাফিজ আলো ছড়িয়েছেন। রাজস্থানের জার্সিতে ১১ ম্যাচে ওভার প্রতি ৭.৭৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।