খেলাধুলা

খরুচে সাকিব, কলকাতার লক্ষ্য ১৯৩ রান

চেন্নাই সুপার কিংসের যে ব্যাটসম্যানদের জ্বলে ওঠার কথা তারা জ্বলেই উঠলেন। তাতে সাকিব আল হাসান, লকি ফার্গুসনরা পাত্তা পেলেন না। ফাফ ডু প্লেসির ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, রবিন উথাপ্পা ও মঈন আলীর ঝড়ে আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৯৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলো তিনবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। ৩ উইকেটে ১৯২ রান করে তারা।

টস জিতে দুবাইয়ে ফিল্ডিং নেয় কলকাতা। প্রথম ওভারে বল করেন সাকিব। চতুর্থ বলে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ইনিংসের প্রথম চার মারেন রুতুরাজ। ওই ওভারে ৬ রান দেন বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে টানা দুটি চার ও ছক্কা মারেন চেন্নাই ওপেনার। ওভারটিতে চেন্নাই করে ১৩ রান। ডু প্লেসির সঙ্গে রুতুরাজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান করে দলটি।

নবম ওভারের প্রথম বলে সুনীল নারিন ৬১ রানের জুটি ভাঙেন। রুতুরাজ ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রান করে লং অফে শিবম মাভির ক্যাচ হন। ১৬ ম্যাচে ৬৩৫ রানে এই আইপিএলে শীর্ষ ব্যাটসম্যানের পুরস্কার অরেঞ্জ ক্যাপ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যান তিনি। তাকে টপকে যাওয়ার পথে ছিলেন সতীর্থ ডু প্লেসি। কিন্তু ২ রানের জন্য পারেননি। 

সাকিব তৃতীয় ওভারে আরো বেশি রান দেন। ডু প্লেসি ও উথাপ্পা একটি করে ছয় মেরে ১৫ রান তোলেন। ১১তম ওভারে ফার্গুসনকে দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরে ফিফটি করেন ডু প্লেসি।

অন্য প্রান্তে ঝড় তুলছিলেন উথাপ্পাও। ১৪তম ওভারে নারিনকে তৃতীয় ছক্কা মারার পরের বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। ১৫ বলে ৩ ছয়ে সাজানো ছিল তার ৩১ রানের ইনিংস। ভাঙে ৩২ বলে ৬৩ রানের জুটি। নতুন ব্যাটসম্যান মঈন আলীও ছিলেন বিস্ফোরক। ইংলিশ ব্যাটসম্যান ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ডু প্লেসি থেমেছেন শেষ বলে, ৫৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৮৬ রানে আউট হন ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ক্যাচ হয়ে। উইকেটটি নেন মাভি। ৬৩৩ রানে এই আসর শেষ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান। মঈনের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৯ বলে ৬৮ রানের।

সাকিব ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন ফার্গুসন, ৪ ওভারে ৫৬ রান দেন নিউ জিল্যান্ড পেসার। নারিন ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। পাত্তা পাননি আরেক স্পিনার বরুণ চক্রবর্ত্তী, ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান।

বড় লক্ষ্য পেলেও কলকাতা অনুপ্রাণিত হতে পারে অতীত থেকে। ২০১২ সালের ফাইনাল জয়ে চেন্নাইয়ের কাছে ১৯১ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেটে ছুঁয়ে ফেলেছিল তারা। দুই বছর পর আরেক ফাইনালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষেও ২০০ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩ উইকেটে জিতে দ্বিতীয় শিরোপা অর্জন করেছিল। চলতি প্রতিযোগিতার এই আমিরাত পর্বে ব্যাট করে ছয় ম্যাচের সবগুলো জিতেছে এউইন মর্গ্যানের দল।