খেলাধুলা

হানুয়াবাডা গ্রাম, ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি 

একটি গ্রাম কিভাবে দেশের ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠে তা পাপুয়া নিউ গিনি দলটির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। 

হানুয়াবাডা গ্রাম। বলা হয় পাপুয়া নিউ গিনি ক্রিকেট দলের হৃৎপিন্ড এ গ্রামটি। দেশটির ক্রিকেট স্কোয়াডের বড় অংশ এসেছে এ গ্রাম থেকে। তাদের দেখে আশেপাশের এলাকা থেকেও যুক্ত হয়েছে পুরুষরা। দশে মিলে তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল। 

যারা আইসিসির বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবার অংশ নিতে যাচ্ছে। ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে ওশেনিয়ার দেশটি। ক্রিকেটের মঞ্চে তাদের জাতীয় সংগীত প্রথমবার বাজবে। দুই চোখ ফেঁটে সুখে কান্না কি আসবে না বিশ্বকাপ যোদ্ধাদের! 

এর আগেও তারা বিশ্বকাপের খুব কাছাকাছি এসেছিল। কিন্তু বাছাই পর্বের বাধা উতরাতে পারেননি। ২০১৩ সালে হংকং এবং ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয় তাদের। তবে ২০১৯ সালে সব পাল্টে যায় পাপুয়া নিউ গিনির। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের সেরা দল হয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে নাম লিখায় তারা। 

অধিনায়ক আসিফ ভালা নিজের দলের হার না মানা মনোবল এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবে গর্বিত,‘পুরো দলের জন্য গর্বের ব্যাপার বিশ্বকাপ খেলা। অনেক সময় লাগল এখানে পৌঁছাতে। গত দুইবার খুব কাছে গিয়েও পারিনি। আর কয়েক দিন পরই খেলব বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ। ছেলেরা সবাই মুখিয়ে আছে। আত্মবিশ্বাসীও ওরা।’  

ওমানের পর পাপুয়া নিউ গিনির পরের দুই ম্যাচ স্কটল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাঠে নামার আগে সাম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। ওমানে সবার আগে পৌঁছে ক্যাম্প করে। এরপর ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ ২ এর ম্যাচ খেলেছে যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, নেপাল ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। পরে টি-টোয়েন্টি খেলেছে নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে দলটি প্রথমবার বৈশ্বিক মঞ্চে মাঠে নেমে চমক দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। 

সুখের কান্নার জন্য প্রস্তুত পুরো দেশের মানুষ। রাজধানী পোর্ট মোরেসবের পাশের হানুয়াবাডা গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। কারণ জাতীয় দলের ১৫ ক্রিকেটারের প্রায় সবারই কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ততা আছে এই গ্রামের সঙ্গে। তাইতো হানুয়াবাডা গ্রামটাই পুরো দেশটির ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি।