খেলাধুলা

‘সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর যে ব্যাটিং; ওখানেই ম্যাচ শেষ’

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে মোটেও সন্তুষ্ট নন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিশেষ করে মধ্যভাগে সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ধীর গতির ব্যাটিং দলকে ডুবিয়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড প্রধান।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪০ রান তাড়া করে ৬ রানে ম্যাচ হারের কারণ জানাতে গিয়ে তিন সিনিয়রের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচকেই দুষলেন তিনি। ওমানে নাজমুল হাসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘দল হারতেই পারে। কিন্তু অ্যাপ্রোচ তো ঠিক থাকবে। ম্যাচে খেলার অ্যাপ্রোচ, অ্যাটিটিউড কিছুই ঠিক ছিল না। কোনো ভাবেই না।’ 

‘প্রথম ৬ ওভারে সুবিধা থাকে। তখন আক্রমণে গেলে উইকেট যাবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু দুটি উইকেট পড়ে যাবার পর ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাট করেছে, ইনক্লুডিং সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ…প্রথম দুজন বাদই দিলাম। ৩, ৪, ৫ যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেখানেই তো ম্যাচ হেরে গেছি আমরা। এভাবে খেললে তো বিশ্বকাপে আমরা রান তাড়া করতে পারবো না। এটা তো প্রত্যেকটা খেলোয়াড় জানে। এভাবে খেললে তো জিততে পারবো না। ওই সময় যেভাবে খেলা দরকার ছিল ওইটা ওদের মধ্যে ছিল না। এটা মূল ইস্যু। আমাদের পরিকল্পনাও ভালো ছিল না।’- বলেছেন নাজমুল হাসান। 

১৮ রানে দুই ওপেনার সৌম্য ও লিটন সাজঘরে ফিরলে চাপে পরে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিক ও সাকিব জুটি বাঁধলেও দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডট ছিল বাংলাদেশের পথের কাঁটা। ১২০ বলের ৪২টিই ছিল ডট! ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি পরিকল্পনায় ঘাটতি দেখছেন বোর্ড প্রধান। 

সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করার কথাও বললেন নাজমুল হাসান, ‘যেহেতু তিন ওভারে দুই উইকেট পড়ে গেছে আরও দুই ওভার বাকি ছিল…অবশ্যই সেখানে ব্যাটিং পরিবর্তন করার দরকার ছিল। কাউকে তিনে খেলাতেই হবে, কাউকে চারে খেলাতেই হবে সেটা তো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যেভাবে আমরা ব্যাটিং করেছি, ১৩-১৪ ওভার পযর্ন্ত লেস দ্যান রান আ বল খেলেছি। এটা টি-টোয়েন্টিতে হতে পারে না। পরের ব্যাটসম্যানরা তো খেলার সুযোগই পাচ্ছে না। ওদের তখন অল আউট খেলা ছাড়া গতি নেই। এভাবে পরিকল্পনা করার কারণ নেই। কি ভেবেছে জানি না।’

‘বাটিং অ্যাপ্রোচ পরিবর্তন করতে হবে। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। ওরা ম্যাচ শেষ করে আসবে। যদি নিচের থেকে কাউকে উঠাতে হয় তাহলে নিয়ে আসবে। আর ওরা যদি ওপরে খেলতে চায় তাহলে তাদের ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হবে। কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে বল নষ্ট করা এবং এমন একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যেখান থেকে আর ফিরে আসা না যায়…সেটা করলে ঠিক হবে না। কে কত রান করলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কত বলে কত রান করলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন রান তাড়া করছেন তখন সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। রান বাড়তে বাড়তে ১০-১২ হয়ে যাচ্ছে তখন শেষ দিকে গিয়ে ২-৩ ওভারে কি করবে? এমন অবস্থা এসেছে যে চারটা ছয় মারতে হবে। এটা তো হয় না, এটা তো সম্ভব না।’ 

‘প্রথমে যারা নামবে তাদেরকে ৬ ওভারের সুবিধা নিতেই হবে। পরের দিকে যতগুলো শট তারা খেলেছে, যতগুলো ক্যাচ তারা বাউন্ডারি লাইনে দিয়েছে সেগুলো সব মারতে হবে প্রথম ৬ ওভারেই। তখন তো কেউ থাকছে না। যখন বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার থাকে তখন তো এসব সুযোগ নেওয়ার মানে থাকে না। আমি ওদের পরিকল্পনাটা বুঝতে পারিনি। ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ পরিবর্তন করতে হবে। উইকেট যাক তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু যারা মারতে পারে, যাদের মারার সাহস আছে তারা শুরুর দিকেই খেলবে।’