খেলাধুলা

দুই দিনেই বরিশালের জয়

প্রথম দিন দুই দলের সবকটি উইকেট পড়েছিল। দ্বিতীয় দিনও একই চিত্র। প্রথম শ্রেণির জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুই দিনেই ফল পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু স্পিনাররা যেভাবে দাপট দেখিয়েছে তাতে প্রশ্ন উঠছে, এভাবে লাল বলের ক্রিকেট লাভ কী? দেশের মাটিতে এমন উইকেটে খেলেই বা কী লাভ?

চট্টগ্রাম বিভাগ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগকে আতিথেয়তা দিয়েছিল। স্বাগতিকদের হারিয়ে দুই দিনেই ম্যাচ জিতেছে বরিশাল। প্রথম দিন বরিশাল আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে চট্টগ্রামকে ৮৭ রানে আটকে দেয় বরিশাল। ৫৯ রানে লিড নিয়ে সোমবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বরিশাল। প্রথম ইনিংসের মতো এবারো তাদের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। ১৩৯ রানে শেষ দ্বিতীয় ইনিংস। ১৯৯ রানের টার্গেট পায় চট্টগ্রাম।

হাতে দুই দিনের বেশি সময়। মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেও এ রান সহজেই তাড়া করা যায়। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। মুমিনুল হককে ছাড়া দল ভুগল।

১২০ রানে গুটিয়ে ৭৮ রানের বিশাল পরাজয়কে সঙ্গী করে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া মনির হোসেন দ্বিতীয় ইনিংসে আরো তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন।

হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ উইকেট নেওয়া আশরাফুল এই ইনিংসেও পেয়েছেন দুই উইকেট। এছাড়া সোহাগ গাজী ও কামরুল ইসলাম রাব্বী ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।

চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে পারভেজ হোসেন ইমন বাদে কেউ রান পাননি। ৪৬ রান করেন তিনি। এছাড়া ইয়াসির আলী চৌধুরী প্রথম ইনিংসের পর এবারো শূন্য করে পেয়ারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন। এর আগে সকালে স্পিনার নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের বোলিং তোপে পড়ে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া নাঈম এবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। হাসান মুরাদের পকেটে গেছে ৪ উইকেট।

ব্যাটিংয়ে আশরাফুল মাত্র ১৭ রান করেন। মনির হোসেন ৩০ ও রাব্বী ২৬ রান করে দলকে এগিয়ে নেন।

চার দিনের ম্যাচ দুদিনেই শেষ। স্কোরবোর্ড বলছে স্পিনাররাদের দাপটে এলোমেলো দুই দল। সত্যিই তাই। উইকেট মন্থর ও টার্নিং ছিল। তাতে পেস বোলাররা অসহায়ই ছিলেন। মোট ৪০ উইকেটের ৩৬টি পেয়েছেন স্পিনাররা! এমন উইকেটে খেলে সাদা পোশাকে কোনো উন্নতি আদৌ কি হবে?