খেলাধুলা

স্কটল্যান্ডকে বিশাল লক্ষ্য দিল আফগানিস্তান

এক দল সরাসরি বিশ্বকাপে নাম লিখিয়েছে। আরেক দল অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। তবে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা দলকে সেসব কঠিন পথও পাড়ি দিতে হয়েছে একসময়। নিজেদের সাফল্যধারা অব্যহত রাখায় তারা এখন টি-টোয়েন্টির অন্যতম পরাশক্তি, র্যাংকিংয়েও শক্তিশালী। 

বলা হচ্ছে আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের কথা। আফগানিস্তান বিশ্বকাপের এক আসর আগেও বাছাই বা প্রথম পর্বে খেলেছে। কিন্তু র্যাংকিংয়ে সেরা আটে থাকায় তারা এবার সুপার টুয়েলভে সরাসরি খেলছে। স্কটল্যান্ড শুরুতে নিজেদের জোনে বাছাই পর্ব পেরিয়েছে। এরপর আইসিসি বাছাইপর্ব শেষে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নাম লিখায়। প্রথম পর্বে বাংলাদেশকে হারানোর পর পাপুয়া নিউ গিনি ও ওমানকে উড়িয়ে তারা এখন সুপার টুয়েলভে। 

সুপার টুয়েলভে প্রথম লড়াইয়ে সোমবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে স্কটল্যান্ড। শারজাহতে আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করে বড় পুঁজি পেয়েছে। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৯০ রান। বিশ্বকাপে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে স্কটল্যান্ডকে করতে হবে ১৯১ রান।

শারজাহর উইকেটকে বলা হচ্ছিল মন্থর। অথচ মাঠে নামলেই দেখা যাচ্ছে উইকেট রান প্রসবা। আফগানিস্তারে ব্যাটম্যানরা তেমন কিছুই তো করে দেখালেন। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ফ্লোতে খেলেছেন। দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাঝাই ও মোহাম্মদ শাহজাদ উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ৫৪ রানের গুটি গড়ে শাহজাদ (২২) আউট হন। জাঝাই সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে করেন ৪৪ রান। 

১০ ওভারে আগফানিস্তানের রান ছিল ৮২। শেষ ১০ ওভারে তারা তোলে ১০৮ রান। এর পুরো কৃতিত্বটা যাবে রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও নাজিবুল্লাহ জারদানের উপর। দুজনের ৫২ বলে ৮৭ রানের জুটি আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। ৩৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ রান করেন রহমতউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আজে নাজিবুল্লাহ ৩৪ বলে করেন ৫৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী শেষদিকে নেমে ৪ বলে ২ চারে তোলেন ১১ রান। 

বল হাতে স্কটল্যান্ডের হয়ে শাফইয়ান শরিফ ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জয় ডেভে ও মার্ক ওয়াট।