খেলাধুলা

দ. আফ্রিকার কাছেও হারল চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৪৪ রানের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ছুটেছে তাতে সহজ জয়ের ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে ছিল তারা। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম জয় পেল প্রোটিয়ারা। টানা দুটি ম্যাচই হেরে তৃতীয় শিরোপা অর্জনের মিশনে বড় ধাক্কা খেল ক্যারিবিয়ানরা।

ইংল্যান্ডের কাছে ৫৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং দিয়ে মুগ্ধ করতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে তারা। দুবাইয়ের এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে প্রোটিয়ারা।

লেন্ডন সিমন্সের ব্যাট যেন উঠলই না। একের পর এক ডট বল খেলেন। ৬১ মিনিট ক্রিজে থেকে যখন আউট হলেন, তখন তার নামের পাশে ১৬ রান, ৩৫ বল খেলে। প্রথম তিন ওভারে ৬ রান তোলার ক্ষতি অবশ্য পুষিয়ে দেন এভিন লুইস। তার তিনটি করে চার ও ছয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু তিনি আউট হলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

ক্রিস গেইল চার নম্বরে নেমে একটি ছক্কা মেরে ১২ বলে ১২ রানে আউট হন। নিকোলাস পুরান শুরুতে টানা দুটি চার মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও থামেন ৭ বলে ১২ রান করে। আন্দ্রে রাসেল ৪ বল খেলে ৫ রান করে আনরিখ নর্টিয়ের শিকার। শিমরন হেটমায়ার দুটি বল খেলে ১ রান করে রান আউট। ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল বাকি থাকতে অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড বিদায় নেন ২০ বলে ২৬ রান করে। পরের বলেই হেইডেন ওয়ালশকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ডোয়াইন ব্রাভো হ্যাটট্রিক বলে চার মেরে তাকে আশাহত করেন। দলের স্কোরবোর্ডে আর দুটি রান যোগ হয়।

প্রিটোরিয়াস সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি পান কেশব মহারাজ।

লক্ষ্যে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা দেয় উইন্ডিজ। প্রথম ওভারেই টেম্বা বাভুমা রান আউট হন মাত্র ২ রান করে। ৪ রানে অধিনায়ককে হারালেও সেই ধাক্কা অনুভব করতে দেননি রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ফন ডার ডুসেন। ৩০ বলে ৩৯ রান করে হেনড্রিক্স যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬১ রান। ৫৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর মাঠে নেমেই ঝড় তোলেন এইডেন মার্করাম। নিজের মোকাবিলা করা ষষ্ঠ ও দশম বলে একটি করে ছক্কা মেরে স্বস্তি ফেরান তিনি। 

মার্করামের সঙ্গ পেয়ে ফন ডার ডুসেনও একটু আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। তাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে মার্করাম ছক্কা মেরে ফিফটি করেন এবং দলের স্কোরে আনেন সমতা। ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পরের বলে জয়সূচক একটি রান নেন তিনি।

৫৪ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের জুটি গড়েন মার্করাম ও ফন ডার ডুসেন। ২৬ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো ছিল মার্করামের ৫১ রানের ইনিংস।  তার চেয়ে বেশ রয়েসয়ে খেলেছেন ফন ডার ডুসেন। ৫১ বলে তার ৪৩ রানের ইনিংসে ছিল তিনটি চার। ১৮.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরুর পর প্রথম জয়ে স্বস্তিতে তারা। চার ওভার বল করে সবচেয়ে কম ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া নর্টিয়ে হন ম্যাচসেরা।