খেলাধুলা

পরাজয়ের নতুন কোনো ‘অজুহাত’ও নেই

সুপার টুয়েলভে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না বাংলাদেশ। ২২ গজে ব্যাটিং-বোলিংয়ে বাজে সময় কাটিয়ে ক্লান্ত মাহমুদউল্লাহরা। তালগোল পাকানো একেকটি পারফরম্যান্সের পর হারের পেছনে নতুন কোনো অজুহাত নেই। বিমর্ষ, বিধ্বস্ত মুখগুলো দিনে দিনে হচ্ছে আরো অমলিন। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন কিংবা পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কিছু গৎবাঁধা মুখস্ত বুলিতে সীমাবদ্ধ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যাচ্ছেতাইভাবে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ নিজে আসেননি। পাঠিয়েছেন তরুণ নাসুম আহমেদকে। যার হাত ধরে ব্যাটিংয়ে ১৯তম ওভারে বাংলাদেশ পায় প্রথম ছক্কার স্বাদ। আবার বল হাতে ইংলিশ শিবিরে ধাক্কাটা তিনিই দিয়েছিলেন। তবে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ এড়াতে পারেননি তিনি। সেখানে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমরা নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে হতাশ। উইকেট ভালো ছিল কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমরা বারবার শুরুতে পিছিয়ে যাচ্ছি এবং ইনিংসের মধ্যভাগে আমরা জুটি করতে পারিনি। এ ধরনের উইকেটে পিছিয়ে পড়লে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।’

মাহমুদউল্লাহও এমন কথা বলে যাচ্ছেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই। শুধু মাহমুদউল্লাহ নন, রাসেল ডমিঙ্গো, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমসহ যারাই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা পরাজয়ের একই অজুহাত দিচ্ছেন বারবার। শুরুতে ব্যাটিং হচ্ছে না, পাওয়ার প্লে’ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ টানা চার ম্যাচে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে কোনো পরিবর্তন নেই।

স্কটল্যান্ডের কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর লিটন-নাঈম দলের ইনিংস শুরু করছেন। কিন্তু দুর্বল পাপুয়া নিউ গিনি বাদে তাদের জুটি একবার জমেনি। অবশ্য ডমিঙ্গো এক সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কাকে খেলাবেন?’ শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য খুব একটা নেই। পাওয়ার হিটার নেই বলেই স্কোরবোর্ড দৌড়ায় না। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখেন, ‘আমাদের স্কিল হিটার রয়েছে, পাওয়ার হিটার নেই। আমাদের এটা পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করছি না। আমরা বিশ্বাস করি আমরা এর থেকেও বেশি রান করতে পারতাম। আমাদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে এবং ভালো পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।’

বিশ্বকাপের আগের থেকে যে সমস্যা চলছিল, বিশ্বকাপের মাঝপথে সেই একই সমস্যা! প্রশ্ন তো উঠছেই, কোন পরিকল্পনায় মাঠে নামে বাংলাদেশ? আর ম্যাচ হারের পর একই অজুহাত বারবার!