খেলাধুলা

আধুনিক ক্রিকেটের জন্য রেঞ্জ হিটিং, ব্যাট সুইং শিখছেন ইয়াসির

প্রতিদিন ক্রিকেট বদলাচ্ছে, আধুনিক হচ্ছে। নতুনত্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়। গড়তে হয় নতুন করে। সেই পথেই হাঁটছেন ইয়াসির আলী রাব্বী।

জাতীয় দলের স্কোয়াডে চার-পাঁচবার সুযোগ হলেও অভিষেক হয়নি তার। তবে অতিরিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে বেশ কয়েকবার মাঠে নেমে ক্যাচ ধরে বড় অবদান রেখেছেন। এবার তার সুযোগ হচ্ছে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর। জাতীয় দলের দুঃসময়ে হাল ধরার জন্য ডাকা হয়েছে সাত ক্রিকেটারকে। ইয়াসির আলী রাব্বী তাদের অন্যতম। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে তার অভিষেক হতে পারে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উন্নতির জন্য রেঞ্জ হিটিং, পাওয়ার হিটিং ও ব্যাট সুইং অন্যতম। ইয়াসির তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করছেন খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) মিরপুরে সেই কথাই শোনালেন, ‘দলে থাকি না থাকি টি-টোয়েন্টিতে আমাদের ছোট খাটো কিছু জিনিস উন্নতি করা প্রয়োজন। মূলত সেসব জিনিস নিয়ে কাজ করা। যেমন রেঞ্জ হিটিং, ব্যাট সুইং।’

পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য মানসিক শক্তির চেয়ে সাহসকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন ইয়াসির, ‘সাহসটা তো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস না থাকলে আপনি কখনো ছয় মারতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় এ জিনিসটা একটা ব্যাটসম্যানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সাহস থাকতে হবে ছয় মারার জন্য।’

তবে এতদিনেও খেলোয়াড়দের এই সাহস না হয়ে উঠার জন্য দেশের উইকেটকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন তিনি, ‘আমি শুধু মিরপুরের উইকেট বলব না, উইকেট অবশ্যই দায়ী। উইকেটের সাথে সাথে আমাদের মানসিক যে ব্যাপারটা...উইকেট বাজে হলে আমরা বড় শট মারার মানসিকতায় থাকি না, সাহসটা আমাদের আসে না। আমি বলবো কিছুটা দায় আছে।’

সতীর্থদের বিশ্বকাপ ব্যর্থতা টিভির পর্দায় দেখেছেন। দূর থেকে দেখে বুঝেছেন, ‘টেকনিক্যাল কোনো ব্যাপার এখানে নেই। আমরা হয়তো মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে ছিলাম কোনো কারণে। ঐ জায়গাটা যদি আমরা ওভারকাম করতে পারি আমাদের জন্য হয়তো আরও সহজ হতো।’

আপাতত টি-টোয়েন্টির জন্য ইয়াসিরকে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে নিজেকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টির মধ্যে আটকে রাখার পক্ষপাতী নন ইয়াসির। বাংলাদেশের পতাকা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই উড়াতে চান, ‘সবসময় চাই তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে।’