খেলাধুলা

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে তাদেরও দ্বৈরথ

পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে একমাত্র অপরাজিত দল। আর অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচে জিতেছে চারটি। দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে। তবে জমজমাট দ্বৈরথ হবে তাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যেও। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে ২২ বারে ১৩টি জয় পাকিস্তানের, ৯টি অস্ট্রেলিয়ার।

বাবর আজম বনাম মিচেল স্টার্ক

চলতি টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে ২৬৪ রান করে বাবর আজম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। চারটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৬৯.৫০ গড়ে রান ২৭৮। তিন ইনিংসে স্টার্কের মুখোমুখি হয়েছেন এবং স্কোর ২১ বলে ২৯ রান। অস্ট্রেলিয়ান পেসারের কাছে একবার আউট হন। এই বিশ্বকাপে সাত উইকেট নিয়ে স্টার্ক শুরুর ওভারগুলোতে ভোগাতে পারেন পাকিস্তান অধিনায়ককে।

মোহাম্মদ রিজওয়ান বনাম প্যাট কামিন্স

উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে এই টুর্নামেন্টে চালকের আসনে। পাঁচ ম্যাচে ২১৪ রান তার।

অন্যদিকে কামিন্স এই বিশ্বকাপে কোনো উইকেট না পেলেও বেশ ইকোনমিক্যাল। মাত্র ‍দুটি ইনিংসে তার মুখোমুখি হয়েছে রিজওয়ান। ১২ বলে করেছেন সাত রান। পাকিস্তানি ওপেনারকে একবারও ডিসমিস করতে পারেননি কামিন্স।

শোয়েব মালিক বনাম অ্যাডাম জাম্পা

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন শোয়েব মালিক। মাত্র ১৮ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দল জেতে ৭২ রানে।

মালিকের উইকেট ফেলে দেওয়া কিংবা তাকে বোতলবন্দি করে রাখার দায়িত্ব থাকবে অ্যাডাম জাম্পার ওপর। তিনবার দুজন মুখোমুখি হয়েছেন, একবারও উইকেট হারাননি মালিক।

অ্যারন ফিঞ্চ বনাম শাহীন শাহ আফ্রিদি

অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ভালো ফর্মে আছেন। পাঁচ ম্যাচে ১৩০ রান। আর মাত্র চারটি রান করলে এক বর্ষপঞ্জিকায় সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি রানের নিজের রেকর্ড (২০১৮ সালে ৪৫৭) ভেঙে ফেলবেন।

অন্যদিকে চলমান টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের পেস আক্রমণের নেতৃত্বে শাহীন শাহ আফিদি। ছয় উইকেট তার দখলে। ফিঞ্চের গতি থামাতে তার ভূমিকা থাকতে পারে বেশি। দুই ইনিংসে অজি ওপেনারের মুখোমুখি হয়েছেন আফ্রিদি এবং একবার উইকেট পান। ওপেনিং জুটি ভাঙার লক্ষ্য থাকবে পাকিস্তানি পেসারের।

ডেভিড ওয়ার্নার বনাম হারিস রউফ

শেষ পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে ফর্মে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। পাঁচ ম্যাচে ১৮৭ রান করেছেন এবং দলটির বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোরার।

তার লড়াই হবে এই আসরে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হারিস রউফের সঙ্গে। ৮ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। নিজ দলের হয়ে ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুতে এক বা দুই ওভার বল করতে পারেন তিনি।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল/মিচেল মার্শ বনাম শাদাব খান

ফিঞ্চ, ওয়ার্নার ও স্মিথের পর ম্যাক্সওয়েল ও মার্শ আছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনে। এই ফরম্যাটের স্পেশালিস্ট দুজনে। পাকিস্তানের শাদাব খানের কাজ হবে তাদের দুজনকে মাঠছাড়া করা এবং ‍দুজনের বিরুদ্ধে ভালো রেকর্ড আছে পাকিস্তানি স্পিনারের। তিন ইনিংসে দুইবার ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান শাদাব। দুই ইনিংসেই মুখোমুখি হয়ে দুইবারই আউট করেছেন মার্শকে।