খেলাধুলা

ভুল না করে সেঞ্চুরিতে ভাস্বর লিটন

এর আগে দু’বার নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আটকে গিয়েছিলেন। নার্ভাস নাইন্টিজে গিয়ে পথ ভুলেছেন। তাতে ছোঁয়া হয়নি তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার। এবার আর ভুল করলেন না। রাজসিক প্রত্যাবর্তন হলো ধ্রুপদী এক সেঞ্চুরিতে।

চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন দাস। এর আগে সবশেষ টেস্টে জিম্বাবুয়েতে করেছিলেন ৯৫ এবং চট্টগ্রামেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ রানে থেমেছিলেন।

সেই দুই ইনিংসের মতো এবারের ইনিংসের মিল অনেক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন মুমিনুলের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটি গড়ার পথে ৯৪ রান করেছিলেন। হারারেতেও ঠিক একই পরিস্থিতি। দল যখন ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় তখন লিটন ও মাহমুদউল্লাহ হাল ধরে করলেন ১৩৮ রান। লিটনের একার ব্যাট থেকে এলো ৯৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

আজ শান্ত যখন দিনের প্রথম সেশনে আলগা শটে আউট হলেন তখন বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৯। সেখান থেকে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে লিটন নিজের পেলেন মর্যাদার টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি।

তবে সব নিজের পক্ষে আসার দিনে একটি ভুল প্রায় করে ফেলেছিলেন লিটন। ৯৯ থেকে ১০০ রানে যেতে বেশ তাড়াহুড়ো করছিলেন। বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলীর বল আলতো টোকায় মিড অফে পাঠিয়ে তার ভো দৌড়! ফিল্ডিংয়ে থাকা আফ্রিদি বল ধরেই থ্রো করলেন। ততক্ষণে ক্রিজের অনেক বাইরে লিটন। ডাইভও দিয়েছিলেন। কিন্তু আফ্রিদির থ্রো একটুর জন্য স্টাম্পে চুমু খায়নি।

প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপনে বেশি কিছু করেননি লিটন। দুই হাত উপরে তুলে অভিনন্দনের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু ড্রেসিংরুমে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর উদযাপন ছিল দেখার মতো। দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শূন্যে উঠিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন ডমিঙ্গো। বাকিরাও হাতে তালি দিয়ে লিটনকে অভিনন্দন জানান। সতীর্থদের প্রত্যেকের চোখে মুখে ছিল হাসি ও প্রাপ্তির আনন্দ।

১৯৯ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ১০ চার ও ১ ছক্কায় নিজের মতো করেই ইনিংস বড় করেছেন। প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি লিটন কোথায় নিয়ে যেতে পারেন সেটাই দেখার।