খেলাধুলা

আবিদের এই পারফরম্যান্সে রয়েছে ইউসুফের ভূমিকা

বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হলেন আবিদ আলী। অথচ পাকিস্তানের জার্সিতে আগের দুই টেস্টে ছিলেন বিবর্ণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে করেন মোট ৭৩ রান, সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৪ রানের। তিন মাসেরও বেশি সময় পার মাঠে নেমে হলেন ম্যাচসেরা। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেট ও সাবেক ব্যাটিং গ্রেট মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে কয়েকটি সেশনকে কৃতিত্ব দিলেন পাকিস্তানি ওপেনার।

চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রান করেন আবিদ। ৩৪ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান শেষ ইনিংসে করেন ৯৩ রান। অথচ গত আগস্টে কিংস্টোনে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তার চার ইনিংস ছিল ৯, ৩৪, ১, ২৯। তারপরও বাংলাদেশ সফরের টেস্ট দলে তার জায়গা পাওয়ার কারণ কায়েদ-ই-আজম ট্রফির পারফরম্যান্স। সেখানে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের হয়ে চার ম্যাচে তিনটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ১৫৮ রান সাউদার্ন পাঞ্জাবের বিপক্ষে।

ওই পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লাহোরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইউসুফের সঙ্গে কাজ করেছেন আবিদ। এটাই বাংলাদেশে ভালো করতে ভূমিকা রেখেছে বলে এক ভিডিও বার্তায় বললেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ‘আমি সেঞ্চুরি করতে পেরে খুশি। আমার ঘরোয়া মৌসুম এই পারফরম্যান্সে ভূমিকা রেখেছে। এনসিএতে (জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি) আমি মোহাম্মদ ইউসুফ ও ওমর ইউসুফের সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি এবং সেটাই নিয়ে এসেছি এখানে।’

আবিদ আরো বললেন, ‘এখানে অনুশীলন সেশনে শহীদ আসলামের সঙ্গে কাজ করেছি। এখানকার উইকেট খুব নিচু, সেটা মাথায় রেখেছিলাম। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে বল আমার শরীরের কাছে আসুক এবং সেভাবেই সফল হয়েছি। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করলাম, পরের ইনিংসে ৯১ রানে আউট। এটা খেলারই অংশ। আমি খুশি যে পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছে।’

এই পারফরম্যান্স ঢাকাতেও অব্যাহত রাখতে চান আবিদ, ‘এই মোমেন্টাম ঢাকাতে নিতে চাই, যেখানে আমরা পরের ম্যাচ খেলব। এটা এখন অতীত এবং নতুন দিন সামনে, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলতে হবে আমাদের। পরের ম্যাচ জিতলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের পয়েন্ট বাড়াতে সহায়তা করবে।’