৫৪০ রানের লক্ষ্য। জয় পাওয়া এক কথায় অসম্ভব, যদিও হাতে দুই দিন আছে। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে বলেই দেওয়া যায় ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারের বদলা নিতে চলেছে। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪০ রান। মুম্বাই টেস্ট জিততে ভারতের দরকার আর ৫ উইকেট, আর নিউ জিল্যান্ডকে করতে হবে আরো ৪০০ রান!
বিশাল লক্ষ্য দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম ল্যাথাম (৬) ও উইল ইয়াংকে (২০) ফেরানোর পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন আউট করেন রস টেলরকেও (৬)। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন ড্যারিল মিচেল। হেনরি নিকলসের সঙ্গে তার ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। মিচেল ৯২ বলে ৬০ রান করেন।
দিন শেষ হওয়ার আগে নিউ জিল্যান্ড হারায় টম ব্লান্ডেলকে (০)। ১২৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর রাচিন রবীন্দ্র ও নিকলস অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
অশ্বিন ১৭ ওভারে ৭ মেডেনসহ ২৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। টেস্টে রানের ব্যবধানে ভারতের রেকর্ড জয় ৩৩৭-তে, ২০১৫ সালে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই রেকর্ড তারা ভেঙে ফেলে কি না সেটাই দেখার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারতের ১০ উইকেটের সবগুলো নেওয়া এজাজ প্যাটেল নতুন রেকর্ড গড়েন। মুম্বাইয়ে ১৯৮০ সালে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার ইয়ান বোথাম, যা এতদিন ধরে ভারতের বিপক্ষে কারো সেরা টেস্ট বোলিং ফিগার ছিল। ছিল বলতে হচ্ছে, কারণ নতুন করে ইতিহাস রচনা করেছেন নিউ জিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ। ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেন এজাজ। নিজ জন্মশহরে দারুণ কীর্তি গড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন চার উইকেট। ৭৩.৫ ওভার ২২৫ রান খরচায় ম্যাচে মোট নিলেন ১৪ উইকেট।
কিন্তু এজাজের দুর্ভাগ্য, তার সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা বিপর্যস্ত। প্রথম ইনিংসে ৬২ রানেরই গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রান করে ভারত প্রতিপক্ষকে ফলো অনে ফেলার সুযোগ পেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। তারপর তৃতীয় দিন দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার খানিকক্ষণ আগে ৭ উইকেটে ২৭৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন বিরাট কোহলি।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের লিড ৫৩৯ রানের। মানে নিউ জিল্যান্ডের সামনে ৫৪০ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই রান তাড়া করে টেস্টে কোনো দলই জিততে পারেনি। তাতে প্রায় আড়াই দিন হাতে পেয়েও নিউ জিল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রানে দিন শুরু করেছিল ভারত। মায়াঙ্ক আগারয়াল ইনিংস সেরা ৬২ রান করেন। ৪৭ রান করে করেন চেতেশ্বর পুজারা ও শুভমান গিল। অধিনায়ক কোহলি ৩৬ রান করেন। ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল।
ভারতের বাকি তিনটি উইকেট নেন রাচীন।