খেলাধুলা

৮ উইকেট নিয়ে সাজিদের ইতিহাস

জায়গায় দাঁড়িয়ে সাজিদের ঘূর্ণির বিপরীতে ইনসাইড আউট শটে চার মেরেছিলেন সাকিব। বিমর্ষ হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন ডানহাতি অফস্পিনার। হয়তো ভাবছিলেন, ইতিহাস গড়া কি হবে না?

আগের দিন ৬ উইকেট নিয়ে বড় কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। আজ ম্যাচের শেষ দিনের প্রথম ওভারেই পেয়ে যান তাইজুলের উইকেট। আগের ৩ টেস্টে ৬ উইকেট নেওয়া সাকিব এবার এক ইনিংসেই ছাড়িয়ে গেলেন নিজের ট্যালি। কিন্তু তার তো ক্যানভাস আরো বড়। তাইতো সাকিবের ব্যাটে চার হজমের পরও তার উইকেট নিয়ে উঠেপড়ে লাগলেন। সফলও হলেন।

সাকিব ডাউন দ্য উইকেটে এসে তার শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দিলেন। ৮ উইকেট পেয়ে গেলেন সাজিদ। গড়লেন ইতিহাস। ৪২ রানে পাকিস্তানের স্পিনার পেলেন ৮ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো বোলারের এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ফতুল্লায় স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলও ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। তবে রান দিয়েছিলেন ১০৮ রান।

এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে চতুর্থ সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও গড়েছেন সাজিদ। আব্দুল কাদির ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লাহারে ৫৬ রানে পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। ১৯৭৯ সালে সরফরাজ নওয়াজ ৮৬ রান পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। সাজিদের মতো ৮ উইকেট পেয়েছেন ইয়াসির শাহ। তবে রান দিয়েছিলেন ৪১। এছাড়া ইনিংসে ৮ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে ইমরান খান, সিকান্দার ভাট ও সাকলায়েন মুশতাকের। ইমরান খান টেস্টে দুবার পেয়েছেন ৮ উইকেট।

এদিকে ৮৭ রানে অলআউট হয়ে দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৩১.৫ ওভারেই ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।