খেলাধুলা

যে পরিকল্পনায় সফল পাকিস্তান

ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে পাঁচদিনের টেস্টের শেষ দিনে ১৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। এ অর্জনের পেছনে ছিল নিরলস পরিশ্রম ও নিখুঁত পরিকল্পনা। শেষ রোমাঞ্চে বাংলাদেশকে হারিয়ে ঢাকা টেস্ট জিতেছে পাকিস্তান।

প্রথমে বাংলাদেশকে ফলোঅনে ফেলে পাকিস্তান। এরপর ইনিংস ব্যবধানে হারায়। চট্টগ্রামের পর ঢাকায় তারা বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘সবাইকে তাদের দায়িত্বটা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আত্মবিশ্বাস দেওয়া হয়। সবাই যেন চেষ্টা করে সেই তাড়না থাকে। যেভাবে দলের সবাই বিশ্বকাপে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে এবং টেস্ট সিরিজে খেলেছে– সেটাই আমাদের এগিয়ে নেবে। অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্বিত যে আমার কাছে এত ভালো একটা দল আছে।’

ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসে তার শিকার ছিল ৮ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৪টি। দুই ইনিংসে বাংলাদেশের টপ স্কোরার সাকিবের উইকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। গতকাল চতুর্থ দিনের ৭ উইকেটের ৬টিই পেয়েছিলেন তিনি।

দলের সাফল্যর জন্য সাজিদের ওই স্পেলের প্রশংসা করলেন বাবর, ‘আমরা দুটি সিরিজই জিতেছি। আজ যেভাবে টেস্ট জিতেছি সেটা দারুণ ছিল। আমার মনে হয়েছে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত ছিল সাজিদের ওই স্পেলটি। এরপর আজ সকালে এসে ফাস্ট বোলাররা যেভাবে উইকেট নিয়েছে সেটার প্রশংসা যতই করি কম হবে। যখন আপনি জয়ের পেছনে ছুটবেন তখন ফল আপনার হাতে এসে ধরা দেবে। আমি সবাইকে এই বার্তাই দিয়েছি নিজের মতো করে খেলতে। কিন্তু ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।’

২২ গজে হাত ঘুরিয়ে বাবর নিজেও পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। সাকিব ও মিরাজের উইকেটে যখন বাংলাদেশের আশা বাড়ছিল তখন ব্রেক থ্রু এনে দেন বাবর। টি-টোয়েন্টির পর বাবররা জিতেছেন টেস্ট সিরিজও।

বাংলাদেশ থেকে যে সমর্থন পেয়েছেন সেজন্য দারুণ খুশি পাকিস্তানের অধিনায়ক, ‘দর্শকরা আমাদের টি-টোয়েন্টিতে ও টেস্ট ম্যাচে যেভাবে সমর্থন করেছে, সেটা খুবই উপভোগ্য ছিল। এখানে আগেও ক্রিকেট খেলেছি। এখানকার লোকজন আমাদের খুবই ভালোবাসে, সমর্থন করে। সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’