খেলাধুলা

কাছে থেকেও কত দূরে 

‘কাল প্রথম যখন এখানে (নিউ জিল্যান্ড) এসে পৌঁছালাম তখন আমরা সবাই আমাদের রুমে যাই। এখনো কারো সঙ্গে দেখা হয়নি ভিডিও কল ছাড়া। দুই একজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছে’-নিউ জিল্যান্ড থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় এভাবেই বলেছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। 

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে অকল্যান্ড হয়ে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। এরপর সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে চলে যান কোচিং স্টাফ হতে শুরু করে ক্রিকেটাররা সকলে। এই সাতদিনের মধ্যে তিনদিন রয়েছে আইসোলেশন পর্ব; অর্থাৎ এই সময়ে নিজের রুমের গণ্ডি পেরিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলারও কোনো সুযোগ নেই।  

বাংলাদেশ দলের এখন চলছে আইসোলেশন পর্ব। এরপর করোনাভাইরাস নেগেটিভের তিত্তিতে শিথিল হবে কোয়ারেন্টাইনের বাঁধা-ধরা নিয়ম। সাতদিন পর কোভিড নেগেটিভ সাপেক্ষে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন। আইসোলেশনে থেকে সুজনের এই এক কথায় স্পষ্ট, দলের সদস্যরা একে অপরের কাছাকাছি থাকলেও দেখা করার, আড্ডা দেওয়ার সুযোগ নেই। ভিডিও কলই একমাত্র ভরসা। যেটিতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন সুজনরা। যেন কাছে থেকেও কত দূরে। 

সুজন বলেন, ‘আজকে আমাদের কোয়ারেন্টাইনের প্রথম দিন। ঘুম থেকে ওঠার পর নাশতার পরে ডাক্তার এবং দুই নার্স এসেছিলেন। আমাদের জ্বর (তাপমাত্রা) মাপার জন্য, খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।‘ 

করোনাকালীন এই সময়ে আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন এসব এখন স্বাভাবিকই। তবুও চার দেয়ালে বন্দি থেকে হাঁপিয়ে ওঠেন ক্রিকেটাররা। এই মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ দলের এটি দ্বিতীয়বারের মতো নিউ জিল্যান্ড যাত্রা। এর আগে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ক্রিকেটাররা। এবার সাতদিন। এরপর পুরোপুরি মুক্ত হবে দল। বায়োবাবলে থাকতে হবে না। তবুও বন্দিজীবনের এই সময়টাকে কঠিনই বলেন টিম ডিরেক্টর। 

‘কঠিন সময় কিন্তু আমাদের আর দুই তিন দিন কষ্ট করতে হবে। এরপর আমরা গ্রুপে অনুশীলন করতে পারবো, জিম শুরু করবো। তারপর ধীরে ধীরে দলীয় অনুশীলন শুরু হবে। কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু সুন্দর হবে। এ ছাড়া আমরা সবাই সুস্থ আছি, ভালো আছি’-এভাবেই বলেছেন সুজন। 

নতুন বছরের প্রথম দিন মাউন্ট মঙ্গানুইতে আতিথেয়তা নেবে বাংলাদেশ। ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডে তিন ফরম্যাটে ৩২ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচে। এবার কী পারবেন হতাশা ঘুচিয়ে জয় এনে দিতে? কিংবা ড্র?