খেলাধুলা

খুলনা টাইগার্স: যেখানে মুশফিকই ভরসা

দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী ২১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর্দা উঠবে। ছয় দলের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই আসর নতুন করে শুরু হচ্ছে। নতুন দল, নতুন করে আবার দল গোছানো। সামর্থ্য ও শক্তিতে কে এগিয়ে? কোথায় দলগুলোর দুর্বলতা? তা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ পড়ুন খুলনা টাইগার্সের গল্প।

নিউ জিল্যান্ডে তখন গভীর রাত। ঢাকায় চলছে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। তাসমান পাড় থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে মুশফিকুর রহিম সাজাচ্ছেন বিপিএলে নিজের দল খুলনা টাইগার্স। সরাসরি আগেই মুশফিককে সাইন করায় খুলনা। দায়িত্বটা তাই বেশি ছিল তার। তাই দল সাজানোতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

বিপিএলে কখনো শিরোপা জেতা হয়নি মুশফিকের। ঘরোয়া ক্রিকেটে গত বছর ঢাকা লিগ জিতে শিরোপা খরা কাটান তিনি। এছাড়া শেষ বিপিএলে ছিলেন ফাইনালিস্ট। এবার তাই যে করেই হোক শিরোপা জিততে হবে তার। সেজন্য পছন্দের কয়েকজন ক্রিকেটারকেও দলে ভিড়িয়েছেন তিনি।

শেখ মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকার, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, ফরহাদ রেজাদের দলে নিয়েছেন মুশফিক। ঘরোয়া ক্রিকেটে এরা প্রত্যেকেই পরীক্ষিত এবং নিয়মিত পারফর্মার। স্পিন ও পেস অলরাউন্ডারে দলটি বেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ।

মেহেদীর সঙ্গে আছেন সৌম্য ও ফরহাদ রেজা। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে থিসারা পেরেরা, সেকুগ্গে প্রসন্ন ও সিকান্দার রাজাও আছে। তবে দ্রুতগতির বোলার স্বল্পতায় রয়েছে দলটি। আফগানিস্তানের নাভিন উল হক ও স্থানীয় কামরুল ইসলাম রাব্বীই ভরসা। প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হতে পারে এমন বোলার নেই বললেই চলে।

মুশফিকের জন্য এই টুর্নামেন্টটা হতে পারে বিরাট চ্যালেঞ্জের। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এই ফরম্যাটে খারাপ সময় কাটাচ্ছেন। তাকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের পরিকল্পনার বাইরেও পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে আবার নিজের অবস্থান ফিরে পেতে পারেন তিনি।

মুশফিক দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দলটা ভারসাম্যপূর্ণ। তারকা ক্রিকেটার নেই। তবে দলে আছে নিয়মিত পারফর্মার। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জিততে এটাই তো দরকার।

খুলনা টাইগার্স: সরাসরি চুক্তি: মুশফিকুর রহিম, থিসারা পেরেরা (শ্রীলঙ্কা), ভানুকা রাজাপাকসা (শ্রীলঙ্কা) ও নাভিন উল হক (আফগানিস্তান) ।

ড্রাফট থেকে দেশি: শেখ মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, জাকের আলী অনিক ও নাবিল সামাদ। ড্রাফট থেকে বিদেশি: সেক্কুগে প্রসন্ন (শ্রীলঙ্কা) ও সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে)।