খেলাধুলা

বিরিয়ানি ও মরিচ-লেবু দেওয়া পেয়ারায় মজেছেন ডু প্লেসিস

প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসে স্থানীয় খাবারে মজেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিস। বিরিয়ানি এবং মরিচ-লেবু দেওয়া পেয়ারা ভর্তা খেয়ে মজা পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে টি-টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়ানো ডু প্লেসিস নিজের ছাপ রাখতে চান বিপিএলে। দলকে করতে চান চ্যাম্পিয়ন। নিজে হতে চান সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। নিজের ইচ্ছা ও প্রত্যাশার কথা মিরপুরে শুনিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার কথা শুনেছে রাইজিংবিডি:

বিপিএলে নিশ্চয়ই চেনা ফাফ ডু প্লেসিসকে দেখা যাবে? ফাফ ডু প্লেসিস: অবশই এটাই তো পরিকল্পনা। এজন্যই তো আমি এখানে। দলের জন্য ভালো করতে চেষ্টা করা। অবশ্য শুরুতে আমাকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেক দেশ আলাদা এবং এর চ্যালেঞ্জও আলাদা। ঢাকায় বেশিরভাগ সময় ধীর ও নীচু উইকেট থাকে কিন্তু চট্টগ্রামে আবার একটু ভালো উইকেট হয়। পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের চেষ্টা থাকবে বিভিন্ন উইকেটে ভালো খেলা।

অনেকদিন হলো বাংলাদেশে পা রেখেছেন। বাংলা শব্দ শেখা হয়েছে কোনো। কোনো খাবার মনে ধরেছে? ফাফ ডু প্লেসিস: না এখনও না (বাংলা শব্দ) । তবে স্থানীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছি। গত রাতে বিরিয়ানি খেয়েছি, বেশ ভালো ছিল। এছাড়া পেয়ারা, মরিচ ও লেবু দিয়ে একটা খাবার দিয়েছিল একজন সেটাও ভালো লেগেছে।

প্রথম ম্যাচের প্রস্তুতি কেমন? ফাফ ডু প্লেসিস: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টুর্নামেন্টটা হচ্ছে। কোভিডের সময় এটাই সবচেয়ে বড় ও প্রথম চ্যালেঞ্জ। আর এমন টুর্নামেন্টে সবসময় শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। কারণ, যারা খেলতে আসে অনেকেই খেলার মধ্যে থাকে আবার অনেকে সেই অবস্থায় থাকে না। তো ওই অবস্থা থেকেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।

চেন্নাই সুপার কিংসে দীর্ঘদিন খেলেছেন। ওরা আইপিএলে অনেকবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কুমিল্লাও এখানে অন্যতম সফল দল। নিশ্চয়ই চেন্নাইয়ের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাবেন?  ফাফ ডু প্লেসিস: দেখুন দুই দলের (সিএসকে-কুমিল্লা) মধ্যে সাদৃশ্য দেখেছি, যেমন দুই দলই চ্যাম্পিয়ন এবং নিজ নিজ টুর্নামেন্টে খুব ভালো করেছে। তাই আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়াটাও সহজ ছিল। আর দুই দলের মধ্যে অন্য সাদৃশ্য খোঁজাটা আমার জন্য এখনও নতুন। আমি মাত্রই এসেছি। এমনিতে দলটা খুব রিলাক্স। বিপিএল অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভালো হবে। খেলোয়াড় হিসেবে সব কন্ডিশনেই আপনাকে খেলতে হবে এবং এতে করে আপনি আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারবেন। যদিও আমি বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় খেলেছি। এখানে এসে আমাকে কিন্তু অন্য স্কিল কাজে লাগাতে হচ্ছে। ব্যাটসম্যান হিসেবে এখানে অভিজ্ঞতা অর্জন করা আমি সত্যিই পছন্দ করি।

নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য ঠিক করে এসেছেন?  ফাফ ডু প্লেসিস: ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সবসময়ই সাফল্য চায়। আমার মতো বা সব ক্রিকেটাররাও এটাই চায়। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে আমি অবশ্যই তা সবার সঙ্গে শেয়ার করবো। আর ব্যাটসম্যান বা নেতৃত্বের জায়গা থেকেও আমার যতটা সম্ভব দলের সঙ্গে শেয়ার করবো। দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া।

শুধু টি-টোয়েন্টি খেলছেন। কতটা উপভোগ করছে? ফাফ ডু প্লেসিস: শুধু টি-টোয়েন্টি খেলা অবশ্যই দারুণ। আপনি সকাল ৭টায় উঠে টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাইবেন না। একই সঙ্গে এখানে এসে সকাল ৭টায় উঠে অনুশীলনে যেতে হচ্ছে। তো একজনকে বলছিলাম – আমাকে আর এটা করতে হচ্ছে না কিন্তু এখন তুমি আমাকে এতো সকালে অনুশীলনে নিচ্ছ। এর কারণ অনুশীলনে অনেক কিছুই তো করতে হয়। টি-টোয়েন্টি সবসময়ই ভালো লাগে। কারণ, এখানে অনেক ম্যাচ খেলা হয় এবং চার সপ্তাহের মধ্যে আসর শেষ হয়।