খেলাধুলা

বিপিএলে ডিআরএসের বিকল্প ‘এডিআরএস’

আন্দ্রে রাসেল নাজমুল ইসলাম অপুর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সে কি চিৎকার! আম্পায়ার শরীফ উল্লাহ ইবনে সৈকতকে কথা শুনিয়েই যাচ্ছেন। বারবার ব্যাট দেখিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাটে আঘাতের পরই বল প্যাডে যায়। 

ওই ওভারেই নাঈম শেখকেও এলবিডব্লিউ দন সৈকত। কিন্তু বল তার গ্লাভসে আঘাত করে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। একই ওভারে দুই ভুল আউটের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবালকে। 

এর আগের দুই ম্যাচে অবশ্য ঢাকার পক্ষে দুটি ভুল সিদ্ধান্ত গিয়েছিল। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) না থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পান না খেলোয়াড়রা। কোভিডের কারণে বিপিএলে ডিআরএস টেকনিশিয়ানদের আনতে পারেনি বিসিবি। 

তাই বিকল্প একটি পদ্ধতি কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। চট্টগ্রাম পর্বের শুরু থেকেই ব্যবহার করা হবে অল্টারনেটিভ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (এডিআরএস)। শুক্রবারের ম্যাচ থেকেই দেখা যাবে এডিআরএস। 

এখানেও সর্বোচ্চ দুটি অসফল রিভিউ নিতে পারবে প্রতি দল। এজন্য সময় পাবে ১৫ সেকেন্ড। তবে ডিআরএসের মতো এখানে সব কিছুর চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। শুধুমাত্র এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই রিভিউ নেওয়া যাবে। 

ডিআরএস প্রযুক্তি আসার আগে মূলত এডিআরএস ব্যবহার করা হতো। এখানে শেডেড এরিয়ার মাধ্যমে দেখানো হবে বল কোথায় পিচ করে এবং বলের ইমপ্যাক্ট কোথায় ছিল। এছাড়া বল উইকেটে হিট করছিল কিনা সেটা দেখতে স্বচ্ছ চিত্র ধারণ করা হবে। আল্ট্রা এজ ও স্নিকোমিটার না থাকায় স্ট্যাম্প মাইকের আওয়াজ এবং টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার মূলত এই সিদ্ধান্ত দেবেন। অনফিল্ড আম্পায়ারের পাশাপাশি তারও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। 

ঢাকায় প্রথম পর্বের ৮ ম্যাচে আম্পায়ারদের কিছু সিদ্ধান্ত ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন ক্রিকেটাররা।