খেলাধুলা

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ১ রান না নিয়ে পুরস্কৃত মিচেল

বাঁচা-মরার লড়াই চলছিল। পেন্ডুলামের মতো ঝুলছিল ম্যাচ। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যেতে নিউ জিল্যান্ডের তখনো ১৮ বলে দরকার ৩৪ রান। 

এমন পজিশনে একটি রানও মহামূল্য। অথচ সূবর্ণ সুযোগ থাকার পরও ক্রিকেটীয় ভব্যতা দেখিয়ে ১ রান নেননি ড্যারেল মিচেল। বোলার আদীল রশিদের ফলো থ্রুতে ফিল্ডিংয়ে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় কিউই ব্যাটসম্যান রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ওই ১ রান না নেওয়ায় ২০২১ সালের আইসিসি অ্যাওয়ার্ড-এ ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’ সম্মাননা পেয়েছেন ড্যারেল মিচেল। 

গত বছরের ১০ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। আবু ধাবিতে ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৬৬ রান তাড়ায় ৭২ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মিচেল। 

১৮ বলে ৩৪ রান লাগত তখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন নিশাম। বোলিংয়ে আদিল রশিদ। লেগ স্পিনারের প্রথম বল লং অনে পাঠান নিশাম। নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন আলীদ রশিদ। কিন্তু মিচেলের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগায় বল ধরতে পারেননি ইংলিশ ক্রিকেটার। ১ রান নেওয়ার সুযোগ ছিল অনায়াসেই। নিশাম রানের জন্য কল করলেও মিচেল সতীর্থকে ফিরিয়ে দেন। 

এই ঘটনা ক্রিকেট মাঠে হরহামেশা ঘটে। আইসিসি সব সময়ই এমন ঘটনাকে উৎসাহিত করে। সেজন্য পুরস্কৃত করেছে মিচেলকে। আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গর্বিত কিউই ক্রিকেটার, ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড পাওয়া দারুণ সম্মানের। ক্রিকেট মাঠে আমরা সবাই জিততে চাই। তবে সেটা হওয়া উচিত ক্রিকেটের মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছু করা থেকে বিরত থেকে। ভালোবাসি বলেই ক্রিকেট খেলি। এবার এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার ব্যাপারটিও দারুণ। যারা ভবিষ্যতে খেলবে, এই উদাহরণ তাদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ 

এর আগে সম্মাননা পেয়েছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কেন উইলিয়ামসন। আবেগ-উন্মাদনা ছাপিয়ে ক্রিকেট এখনও যে ‘ভদ্রলোকের খেলা’ তা আরও একবার ফুটিয়ে তুললেন মিচেল।