খেলাধুলা

ফটোসেশন বাদ দিয়ে সাকিবের শুটিং, বরিশালকে শোকজ

বিপিএল ফাইনালের আগে অফিসিয়াল ফটোসেশনে অংশ না নিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিসিবির অনুমোদিত বলয় ভেঙে সাকিবের টিম হোটেলের বাইরে যাওয়া ও ফটোসেশনে অংশ না নেওয়ায় তার দল বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএল-এর ফাইনাল শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শোকজের বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

নাজমুল বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে বলি…যতগুলো সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট হয়েছে আমরা কিন্তু এটা ছাড় দেইনি। এবার কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উপর দায়িত্ব ছিলো। বিসিবির অধীনে আমরা কখনো ছাড় দেইনি। ইতিমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শোকজ করা হয়েছে।’

বিসিবি সভাপতির প্রশ্ন, ‘বায়োবাবল ভেঙ্গে বাইরে গেলো কিভাবে? কারণ আমরা ফ্র্যাঞ্চাজিদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম কিভাবে বায়োবাবল অনুসরণ করতে হবে। এটা ব্রেক হয়েছে, সেটার জন্য তাদের শোকজ করা হয়েছে।’

নাজমুল হাসান বায়োবাবলের কথা বললেও এবারের বিপিএলে বায়োবাবল ছিল না। তবে অনুসরণ করা হয়েছে ম্যানেজড ইভেন্ট ইনভারমেন্ট (এমইই)। যা অলিম্পিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। যেখানে সাফ বলা আছে, বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত কারণে হোটেলের বাইরে কোনো ক্রিকেটার, কর্মকর্তা বের হলে তাকে অবশ্যই কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে পুনরায় হোটেলে প্রবেশ করতে হবে। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার কোভিড টেস্ট করিয়ে নেগিটিভ রিপোর্ট নিয়ে ফাইনাল খেলার অনুমতি পান সাকিব।  

বৃহস্পতিবার অফিসিয়াল ফটোসেশনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু বরিশালের অধিনায়ক মাঠেই আসেননি। উল্টো তার অনুপস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা বলেছেন ফরচুন বরিশালের ম্যানেজার সাব্বির খান। তিনি জানান, পেটে পীড়া থাকায় সাকিব ফটোসেশনে অংশ নেননি। তার পরিবর্তে আসেন নুরুল হাসান সোহান। সহ-অধিনায়ক সোহানের বক্তব্য, ‘গতকাল ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, আমরা অনুশীলন করেছি। আজ হয়ত জিম করছেন সে কারণে হয়তবা আসতে পারেনি। তাই আমি এসেছি। আর এটা হচ্ছে পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।’

কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘পুরো বিপিএল যদি দেখেন সাকিব ব্যাট করেছে তিন থেকে চার দিন। নিজের মতো করে কাজ করেছে। আজ বলল- ‘‘ভাল লাগছে না যাব না’’। আমি বলেছি ঠিকাছে।’ সব মিলিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি থেকে একেক সময়ে এসেছে একেক তথ্য। 

এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের মাঝে তো কিছু করা সম্ভব না। টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে এখন যা করার করবো। কেউ আইন ভাঙবে...এটা তো প্রশ্নই উঠে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দায়িত্বটা এখানে বেশি ছিলো। ওটা (বিজ্ঞাপনে শুটিং) অনুমতি নিয়ে করেছে। নির্দিষ্ট প্রটোকল নিয়ে করেছে।’

প্রসঙ্গত, ফটোসেশনে অংশ না নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে পরিচালক অমিতাভ রেজার সঙ্গে একটি কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে ছিলেন সাকিব।