খেলাধুলা

স্টয়নিস ঝড়ে রাজস্থানকে কাঁপিয়ে হারল লক্ষ্ণৌ

মার্কাস স্টয়নিস যে ঝড় তুলেছিলেন, তা যেন ছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের শেষ কামড়। আহত বাঘের মতো ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল তারা, যাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। শেষ পর্যন্ত ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে গোলাপি শহরের দলটি। ৪ ম্যাচে তৃতীয় জয়ে এখন এক নম্বরে রাজস্থান।

লক্ষ্যে নেমে প্রথম দুই বলে ট্রেন্ট বোল্টের কাছে উইকেট হারানোর পর টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় লক্ষ্ণৌর ৭৪ রানে ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়, তারপর দলকে পথ দেখান কুইন্টন ডি কক (৩৯) ও ক্রুনাল পান্ডিয়া (২২)। তবে ১৬তম ওভারে এই দুজনকে বিদায় করে রাজস্থানকে জয়ের স্বপ্ন ভালোভাবে দেখাতে শুরু করেন যুজবেন্দ্র চাহাল। কিন্তু কাজটা সহজ করতে দেননি এই দুই ব্যাটসম্যানের আউটের মাঝের বলে ক্রিজে নামা স্টয়নিস।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান যে ১৭ বল খেলেন, তা কাঁপিয়ে দিয়েছিল রাজস্থানের অন্তরাত্মা। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন দুষ্মন্ত চামিরা। তাদের ব্যাটিং ঝড়ে মুঠো থেকে বেরিয়ে যেতে বসেছিল রাজস্থানের জয়। ১২ বলে ২৪ রান তুলে ফেলে এই জুটি, তবে চামিরা আউট হওয়ার পর আরো আগ্রাসী স্টয়নিস। শেষ ২ ওভারে ৩৪ রান প্রয়োজন হলে ১৯তম ওভারে ১৯ রান তুলে ফেলেন তিনি, যার মধ্যে ছিল দুটি ছয় ও একটি চার।

শেষ ওভারে ১৫ রান চাই লক্ষ্ণৌর। প্রথম তিন ওভারে ২৪ রান দেওয়া কুলদীপ সেন ছাড়া আর কেউ ছিলেন না বল করার মতো। দায়িত্বটা ভালোই পালন করেছেন প্রথম চার বল ডট দিয়ে। তাতে শেষ দুটি বলে চার ও ছয় মারলেও স্টয়নিস দলকে জেতাতে পারেননি। ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৮ উইকেটে ১৬২ রানে থামে নবাগত দলটি।

রাজস্থানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন চাহাল। দুটি পান ট্রেন্ট বোল্ট।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান শিমরন হেটমায়ারের ৩৬ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত পারফরম্যান্সে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান করে। এছাড়া রবীচন্দ্রন অশ্বিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। টপ অর্ডারে ২৯ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস আসে দেবদূত পাডিক্কালের ব্যাটে।

টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর লক্ষ্ণৌ তাদের এই আইপিএলে দ্বিতীয় হারের তিক্ত স্বাদ পেল। ৫ ম্যাচে  ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে টপকে শীর্ষে রাজস্থান।