খেলাধুলা

সাকিব খেললে ইয়াসির আউট, না খেললে মোসাদ্দেক ইন

চট্টগ্রাম টেস্টে দলে নেই কোনো ব্যাটিং স্পিন অলরাউন্ডার। ঢাকা লিগে তামিম ইকবালের ক্যাচ ধরতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ আঙুলে পেয়েছেন চোট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছেন তিনি।

ছুটি শেষে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে কোভিডের কারণে বাদ পড়েন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনদিনের ব্যবধানে কোভিড নেগেটিভ হয়ে সাকিব ফিরেছেন স্কোয়াডে। তবে ১৫ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিবের খেলা হবে কিনা এখনও নিশ্চিত নন।

আজ দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে শনিবার এক সেশন অনুশীলনের সুযোগ পাবেন সাকিব। এক সেশন প্রস্তুতি নিয়েই কি পাঁচদিনের টেস্ট খেলতে নামতে পারবেন তিনি? দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সাফ জানিয়েছেন, ৬০-৭০ ভাগ ফিট সাকিবকে মাঠে নামাতে চান না। তাতে পারফর্ম করার সুযোগ পাবেন না। দলের চাহিদাও পূরণ করতে পারবেন না। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাকিবের খেলার সিদ্ধান্ত তার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। সঙ্গে যোগ করেছেন, ঝুঁকি নিয়ে খেলা ঠিক হবে না।

বাঁহাতি অলরাউন্ডারের অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা থাকলেও ব্যাকআপ প্ল্যান ঠিক রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব খেললে ৬-৭ নম্বরে খেলবেন। তার উপস্থিতিতে একাদশ থেকে বাদ পড়বেন দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্ট খেলা ইয়াসির আলী রাব্বী। ডানহাতি ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকায় সাকিবের পরিবর্তেই খেলেছিলেন দুই টেস্ট। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় নন, চট্টগ্রামে তার অভিষেক হয়েছিল সাকিবের জায়গাতেই। নিউ জিল্যান্ডেও দুই টেস্ট খেলেছেন সাকিবের অনুপস্থিতিতে। সাকিবের উপস্থিতিতে এবার তার জায়গা হারাতে হবে।

তবে সাকিবের অনুপস্থিতিতেও তার খেলার সুযোগ নেই। ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, সাকিবের অনুপস্থিতিতে বোলিং করতে পারে এমন কাউকে দলে রাখতে হবে যে কিনা ১৫-২০ ওভার করবে। এই বিবেচনায় ইয়াসিরের থেকে এগিয়ে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

মেহেদী হাসান মিরাজের ইনজুরিতে তাকে শেষ মুহূর্তে দলে ঢোকানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন মোসাদ্দেক। ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের প্রত্যাবর্তনটা হয়ে যেতে পারে এখানেই।

ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘বোলিং করতে পারে এমন কাউকে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এটা আমাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। যেমন আমাদের ইয়াসির আলী রাব্বী আছে। যে কিনা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। কিন্তু আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে কিনা ১৫-২০ ওভার বোলিং করতে পারে।’

প্রধান কোচের বিবেচনায় আছে একাধিক নাম। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মুমিনুল ও শান্ত একাদশে থাকবেন। কিন্তু তাদের থেকে খুব বেশি বোলিং আশা করছেন না ডমিঙ্গো। বাদ থাকেন কেবল মোসাদ্দেক। তাকে নিয়েই রণ কৌশল সাজাচ্ছেন প্রোটিয়া কোচ।

‘মুমিনুল, আমি নিশ্চিত না যে ও ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে। শান্তও বোলিং করে। কিন্তু ৬-৭ ওভারের বেশি নয়। মোসাদ্দেক আমাদের নির্বাচনের ভাবনায় আছে। সে বোলিং করতে পারে। সাকিব খেলতে না পারলে মোসাদ্দেক খেলার জন্য বিবেচনায় আছে।’

৬-৭ পজিশনে একজন অলরাউন্ডারের খোঁজে আছেন ডমিঙ্গো। এমন কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না যে কিনা সাকিবের অভাব পূরণ করতে পারবেন। আক্ষেপ করেই তিনি বলেছেন, ‘আমরা শেষ দুই বছরই ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং এবং ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে এমন কাউকে খুঁজছি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে আমরা এখনও এমন কাউকে খুঁজছি। সাকিব থাকলে কাজটা সহজ। কিন্তু সাকিবকে খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না।’