খেলাধুলা

বিদায়বেলায় অঝোরে কাঁদলেন সুয়ারেজ

বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল আকস্মিকভাবে। রোনাল্ড কোম্যানের ‘ফেলনার খাতায়’ নাম দেখে ছয় বছরের সম্পর্ক চুকাতে গিয়ে কেঁদে চোখ ভাসান লুইস সুয়ারেজ। অনেকটা বাধ্য হয়ে পাড়ি দিতে হয়েছিল কাতালানদের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। মাত্র দুই বছরের সম্পর্ক, কিন্তু বন্ধনটা ছিল অনেক শক্ত। তাই তো ওয়ান্ডা মেত্রোপলিতানোতে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে কাঁদলেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার।

অ্যাটলেটিকো সুয়ারেজের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি। তাই সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এই জার্সিতে ঘরের মাঠে তার শেষ ম্যাচ। কোথায় পরের ঠিকানা তা এখনও জানা যায়নি। যেটুকু গুঞ্জন, অ্যাস্টন ভিলার কোচ স্টিভেন জেরার্ড সাবেক লিভারপুল সতীর্থকে পেতে চাইছেন। সেখানে ধারে খেলা আরেক সাবেক অলরেড সতীর্থ ফিলিপ্পে কৌতিনিয়ো আছেন। সব মিলিয়ে সুয়ারেজকে প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবেই দেখার সম্ভাবনা জোরদার।

সেভিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে সুয়ারেজ ছিলেন প্রথম একাদশে। তাকে শেষবার মাঠে দেখার জন্য আসেন উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। ৬৫ মিনিটে তাকে মাঠ থেকে তুলে নিতেই আপ্লুত হয়ে পড়েন এই ফরোয়ার্ড। কাঁদতে দেখা যায় তাকে। ম্যাচ শেষে সতীর্থদের সঙ্গে আলিঙ্গন করতে গিয়েও নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি।

এই সুয়ারেজ ২০২০-২১ মৌসুমে বার্সা থেকে মাদ্রিদ ক্লাবে যোগ দেন। নিজের পঞ্চম লা লিগা জেতান এই দলের জার্সিতে। সেবার ২১ গোল করে ছিলেন ক্লাবের শীর্ষ গোলদাতা। এবার করেছেন ১১ লিগ গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৮২ খেলায় ৩৪ গোল, ছয়টি অ্যাসিস্ট ও একটি লা লিগা মাদ্রিদ ক্লাবের হয়ে।

শোনা যাচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবে না গিয়ে উরুগুয়েতে নাকি ফেরার কথাও ভাবছেন সুয়ারেজ।