খেলাধুলা

‘মোস্তাফিজ বলতে পারে সে টেস্টের জন্য ফিট না’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ এখনো শেষ হয়নি। বাকি রয়েছে ঢাকা টেস্ট। কিন্তু ক্রিকেটাঙ্গন সরগরম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় টেস্ট সিরিজের দল নিয়ে। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান টেস্ট খেলবেন কী খেলবেন না এটা নিয়েই আলোচনা চলছে বেশি।

প্রথম সারির দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম ইনজুরিতে থাকায় মোস্তাফিজ ইস্যু বড় করে সামনে এসেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক প্রকার নিরুপায় হয়ে মোস্তাফিজকে জানিয়ে দিয়েছে তাকে টেস্ট খেলতে হবে। কিন্তু মোস্তাফিজ নিজ থেকেই খেলতে চাচ্ছিলেন না।

না খেলার যুক্তি হিসেবে মোস্তাফিজ আইপিএলে লম্বা সময় ধরে থাকার কথাই বলেছেন। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, মোস্তাফিজ ফিজিক্যালি ফিট নয়, এটা ও বলতে পারে।

‘তার লজিকটা হচ্ছে সে দুইমাস ধরে ওখানে আছে। অনেকদিন ধরেই বাইরে আছে। বলছে আমার লম্বা একটা সময় চলে যাচ্ছে। মানে তার সময় নিয়ে নিচ্ছে বেশি। ফিজিক্যালি বলতে পারে সে ফিট না। আমরা বলেছি, তুমি আসো দেখা যাবে কি করা যায়। মনে হচ্ছে যে ও খেলতেও পারে। কিন্তু এটা আমরা কালকে জানতে পারবো।’-এভাবেই বলেছেন জালাল।

শনিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুসহ বৈঠকে বসেন তিন নির্বাচক। মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের দল নিয়েই হয় আলোচানা। আগামীকাল দেওয়া হবে দল। মোস্তাফিজকে যে বিসিবি চাইছে টেস্ট দলে তাকে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জালাল বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সে টেস্ট খেলুক। অ্যাটলিস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আমরা তাকে জানিয়েছি, আমরা তোমাকে চাই। দেখা যাক সে কী বলে। এটা কালকের মধ্যেই পরিস্কার হয়ে যাবে। কালকেই দল পাবেন আপনারা, তখন বুঝতে পারবেন। কালকের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম দিয়ে দেবে নির্বাচকরা, সেটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’

তাকে পেতে যে বিসিবি মরিয়া সেটি পরিস্কার জালালের কথায়, ‘আমরা বলেছি তাকে খেলতে। মোস্তাফিজ চাচ্ছিল না খেলতে। খেলতে হবে। কারণ, আমাদের দুইটা ফ্রন্ট লাইনের বোলার নাই। গুরুত্বপূর্ণ দুজন বোলার নেই। আমরা মনে করি মোস্তাফিজের সার্ভিস খুব গুরুত্বপূর্ণ এখানে। তার সাপোর্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাকে জানিয়েছি সে নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমার মনে হয় কালকে আপনারা টিম দিলে বুঝতে পারবেন।’

২০১৫ সালে টেস্টে অভিষেক হলেও মোস্তাফিজ খেলেছেন মাত্র ১৪টি টেস্ট। সবশেষ খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এবার লাল বলের চুক্তিতেও নেই এই পেসার। বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণে খেলতে চান না। কিন্তু তাসকিন-শরিফুলরা ইনজুরিতে পড়ায় মোস্তাফিজের বিষয়টি সামনে আসে জোরালোভাবে।