খেলাধুলা

সরাসরি ফাইনালে গুজরাট নাকি রাজস্থান?

মারাত্মক বোলিং আক্রমণ ও কয়েকজন মানসম্মত ফিনিশার নিয়ে ফাইনালে চোখ রেখে প্রথম কোয়ালিফায়ারে নামছে আইপিএলে অভিষিক্ত গুজরাট টাইটান্স। তাদের প্রতিপক্ষ স্পিনে শক্তিশালী সাবেক চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালস। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হবে দুই দল, বিজয়ী দল সরাসরি যাবে ফাইনালে।

প্রথমবার আইপিএলে অধিনায়কত্ব পেয়ে নতুন একটি দলকে লিগ পর্বে ব্যাটে-বলে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেছেন এই অলরাউন্ডার। ডেথ বোলিংয়ে রশিদ খান এবং ব্যাটিংয়ে নিজে ঝড় তোলার পাশাপাশি দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়ার।

আফগান লেগস্পিনার মাঝের ও ডেথ ওভারে ছিলেন অসাধারণ। আর মোহাম্মদ শামি এনে দিয়েছেন চমৎকার শুরু। পাওয়ার প্লেতে এই মৌসুমে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট তার। পেস বিভাগে আলজারি জোসেফ ও লকি ফার্গুসনও আছেন।

লিগ পর্বে একই প্রতিপক্ষকে গুজরাট ৩৭ রানে হারায়। কিন্তু উদ্বোধনী আসরের চ্যাম্পিয়নদের আছে ভারী স্পিন আক্রমণভাগ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অভিজ্ঞ স্পিন কাজে লাগিয়ে চমকে দিতে পারে লিগের গুজরাটকে।

তাছাড়া শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনটি হার গুজরাটকে মাটিতে নামিয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৮ উইকেটে হার।

সাঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান দলেই আছে এবারের অরেঞ্জ ও পার্পল ক্যাপের বর্তমান প্রার্থী জস বাটলার ও যুজবেন্দ্র চাহাল। তিনটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো ইংলিশ ব্যাটসম্যান অবশ্য গত তিন ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি। তার কাছ থেকে ভালো কিছুর আশায় রাজস্থান। এছাড়া ব্যাটিংয়ে শিমরন হেটমায়ার ও রিয়ান পরাগ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করলেও সম্প্রতি ফর্মহীনতায় ভুগছেন। বড় ম্যাচের আগে এই তিনজনকে ফর্মে দেখতে মুখিয়ে দল।

টস হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গুজরাটের চার হারের তিনটি ও রাজস্থানের পাঁচ হারের চারটি হয়েছে রান তাড়া করতে নেমে। এই ম্যাচে হারলেও রাজস্থানের ফাইনালের আশা টিকে থাকবে। তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে এলিমিনেটরে বিজয়ী দলের সঙ্গে, যে লড়াইয়ে আছে বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

অবশ্য এই ম্যাচের চেয়ে আলোচনায় কলকাতার বৈরী আবহাওয়া। কোনো কারণে ম্যাচে একটি বলও না হলে লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকার সুবাদে ফাইনালে চলে যাবে গুজরাট। যদিও ম্যাচটি বলে-ব্যাটে নিষ্পত্তি করতে সব বন্দোবস্ত করে রেখেছে বিসিসিআই। দুই ঘণ্টা বাড়তি হাতে রাখা হয়েছে হাতে। পাঁচ-পাঁচ দশ ওভারে খেলা কিংবা তাও না হলে সুপার ওভারে ফল বের করতে চায় কর্তৃপক্ষ।