খেলাধুলা

মোসাদ্দেকের দোষ নেই, অভিজ্ঞতায় বাজিমাত সাকিবের

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হুট করে মোসাদ্দেক হোসেনকে খেলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে। না বোলিং, না ব্যাটিং মোসাদ্দেক যেন ছিলেন দলের বোঝা হয়ে। অন্যদিকে দুই দলের মধ্যেই স্পিনে বাজিমাত করেছেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট সিরিজে স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনিই।

স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম মনে করেন, এখানে মোসাদ্দেকের কোনো দোষ নেই। দীর্ঘ বিরতির পর হুট করে খেলেতে নেমে পারফর্ম্যান্স করা কঠিন বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সাকিবের দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পেছনে অভিজ্ঞতাই কাজে লেগেছে বলে মনে করেন সোহেল।

স্কোয়াডে থাকলেও মোসাদ্দেক চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন না। নাঈম হাসান ছিটকে যাওয়াতে ঢাকা টেস্টের দলে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন এই অলরাউন্ডার। টিম ম্যানেজম্যান্টের ভাবনা ছিল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ স্পিনে দলকে সহায়তা করবেন। তার কোনোটাই হয়নি।

ব্যাট হাতে মোসাদ্দেক করেন মাত্র ৯ রান। দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দিতে পারলে দারুণ কিছু হতে পারতো। কিন্তু ৩ বলে ০ রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপদের মুহূর্তে ঢাল হতে পারেননি দলের। আউট হয়ছেন ৯ রানে। তার আউটের পর দল ১ রানও করতে পারেনি। আর বল হাতে প্রথম ইনিংসে মোসাদ্দেক মাত্র ১২ ওভার করেন। ৩৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।

সোহেল বলেন, ‘একটা ছেলে লম্বা সময় ধরে দলে নেই, এসেই হুট করে ভালো করে ফেলবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা কঠিন। বিশেষ করে লংগার ভার্সনে। পেস বোলার হলে ভিন্ন কথা, ধরেন জোরে বল করে ব্যাটসম্যান ভয় পাচ্ছে, প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় পাচ্ছে না। কিন্তু স্পিন তো একটা শিল্প। স্পিনার একজন ধীর গতির বোলার, এটা দিয়েই ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হবে।’

‘অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। একটা প্রয়োজন তৈরি হল হুট করে এনে খেলিয়ে দিলাম। যারে খেলাবো তারেও আসলে সময় দিতে হবে পারফর্ম করার। মোসাদ্দেক যদি ১০ টা টেস্ট খেলে আর ১১ নম্বর ম্যাচে খারাপ করে তখন এই প্রশ্নটা আসবে’-আরও যোগ করেন সোহেল।

অন্যদিকে স্পিনে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন সাকিব। ৪ বছর পর প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ফাইফার। তাইজুল-নাঈমকে ছাপিয়ে পুরো সিরিজে নিয়েছেন ৯ উইকেট। যদিও নাঈম ঢাকা টেস্ট খেলতে পারেননি। এ ছাড়া ব্যাট হাতেও রেখেছেন অবদান। ১ ফিফটিসহ করেন ৮৪ রান।

এক্ষেত্রে সোহেল বলছেন সাকিবের অভিজ্ঞতার কথা, ‘আসলে অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মাঝে পার্থক্য কি? এটা আগে বুঝতে হবে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নিজেকে জানে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই সে প্রস্তুত হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেবা দেওয়ার জন্য। সাকিবের ক্ষেত্রেও-সেটা হয়েছে সাকিব অভিজ্ঞ।’

‘তার (সাকিবের) আত্মবিশ্বাস লেভেল...সে জানে কোনো জায়গাতে বল করতে হবে। কোন উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে সে জানে। তার জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং নতুন একটা ছেলের জন্য কিংবা সৈকতের জন্য প্রস্তুত হওয়াটা অনেক পার্থক্য আছে’-এভাবেই বলেছেন সোহেল।