পর্তুগাল স্ট্রাইকার রিকার্ডো হোর্তা শেষ দিকে গোল করে স্পেনকে তাদের প্রথম নেশনস লিগ ম্যাচ জিততে দিলো না। বৃহস্পতিবার এস্তাদিও বেনিতো ভিল্লামারিনে ১-১ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
আলভারো মোরাতা শুরুতেই এগিয়ে দেন স্পেনকে। কিন্তু হোর্তার গোলে পর্তুগিজদের সঙ্গে টানা চতুর্থ ড্র করলো তারা। ২০০৪ সালের পর থেকে স্পেনের বিপক্ষে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জেতেনি পর্তুগাল এবং স্প্যানিশদের মাটিতে তো কখনোই জিততে পারেনি।
লিগ ‘এ’ গ্রুপ-২ এর ম্যাচে স্পেন প্রাণবন্ত শুরু করেছিল। মিডফিল্ডার গাভি তৃতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সুযোগ তৈরি করেন গোলের, কিন্তু তার প্রচেষ্টা রুখে দেয় অতিথিদের রক্ষণভাগ।
পর্তুগাল ডিফেন্ডার পেপে দারুণভাবে থামান মিডফিল্ডার কার্লোস সোলারকে। নিচু পাস থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন স্প্যানিশ ফুটবলার।
শেষ পর্যন্ত ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। মিডফিল্ডার গাভি ও পাবলো সারাবিয়ার যোগাসাজশে গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে জাল কাঁপান মোরাতা। ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার আর তিন গোল করলেই সববয়সভিত্তিক ক্যাটাগরির জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউলের (৬১) রেকর্ড ছুঁবেন।
পর্তুগালকে বিরতির আগে সমতায় ফেরাতে পারতেন ফরোয়ার্ড রাফায়েল লিয়াও ও স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভা। কিন্তু অল্পের জন্য তারা লক্ষ্যের দেখা পাননি।
ফার্নান্দো সান্তোসের দল ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা ছোঁয়ার মুহূর্তে আবারও সমতা ফেরানোর সুযোগ পায়। সিলভার পাস পেয়ে লিয়াও শট নেন লক্ষ্যে, স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ডিয়েগো লরেন্তে ব্লক করতে ব্যর্থ হলেও গোলকিপার উনাই সিমন ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান।
৬৪তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন মোরাতা। কিন্তু বাঁ পোস্ট ঘেষে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।
খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে বদলি নামা হোর্তা স্কোর ১-১ করেন। ডিফেন্ডার জোয়াও কানসেলোর ক্রস থেকে পেনাল্টি এরিয়ায় বল পেয়ে মাঝ বরাবর লক্ষ্যে পাঠান তিনি।