খেলাধুলা

সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশের ভাগ্যে কী আছে? 

অ্যান্টিগায় চাইলেই ভালো কিছু করার সুযোগ ছিল। বোলাররা সেই মঞ্চও তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব‌্যাটসম‌্যানদের ‌ব‌্যর্থতায় তালগোল পাকিয়ে ম‌্যাচটা বাংলাদেশ হেরে যায় অতি সহজে। 

অসহায় আত্মসমর্পণে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজ নির্ধারণী ম‌্যাচে কী আছে বাংলাদেশের ভাগ‌্যে? 

পাহাড়ের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে ড‌্যারেন স‌্যামি স্টেডিয়াম। নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামে রয়েছে বাংলাদেশে মিশ্র অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ ওখানে ম‌্যাচ খেলেছে ২টি। একটিতে গৌরবের ড্র। আরেকটিতে খুব বাজেভাবে হার। 

২০০৪ সালে বাংলাদেশ সেন্ট লুসিয়াতে খেলেছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে। যে টেস্টে বাংলাদেশ চার শতাধিক রান করেছিল। হাবিবুল ও মোহাম্মদ রফিক প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। খালেদ মাসুদ পাইলটের ব‌্যাট থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছিল সেঞ্চুরি। বোলারদের নৈপুণ‌্যে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিডও পেয়েছিল। শেষমেশ ব্রায়ান লারার দলকে থামিয়ে বাংলাদেশ ম‌্যাচটি ড্র করে। 

ওই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ২৮ টেস্টে কেবল দুটি টেস্ট ড্র করেছিল। বাকি সবকটিতে হার। দুটিতেই বৃষ্টির কারণে দুদিন করে খেলা হয়নি। সেন্ট লুসিয়ায় ২০০৪ সালে একটি বলও নষ্ট হয়নি। তাই তো ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের গৌরবের ড্র। পূর্বসূরির পারফরম্যান্স অবশ্য উত্তরসূরিরা ধরে রাখতে পারেননি। 

২০১৪ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল সেন্ট লুসিয়ায়। কিন্তু ১৬১ ও ১৯২ রানে অলআউট হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করে গোটা দল। ৮ বছর পর আবার সেই সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশ। 

এবার কী আছে সাকিবদের ভাগ‌্যে? বলা হয়, নিজেদের ভাগ‌্য মানুষ নিজেরাই লিখতে পারে। সাকিবদের ক্ষেত্রেও তাই। ম‌্যাচে তামিম, সাকিব, জয়, সোহানরা ভালো করলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। ঠিক বোলারদের ক্ষেত্রেও তাই। ইবাদত, খালেদ, মোস্তাফিজ, শরিফুলরা ভালো করলেই ভালো ফল মিলতে পারে। 

সেন্ট লুসিয়ায় আগের ৯ টেস্টে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড তেমন ভালো নয়। মাত্র ১ টেস্ট জিতেছে তারা এই মাঠে, সেটি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৪ সালে। ৪টি ড্র করেছে এবং বাকি ৪টিই তারা প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে। এই পরিসংখ্যান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশ দল এবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে নামতে পারে।

বাংলাদেশের একাদশে একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে। নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় এনামুল হক বিজয়কে দেখার সম্ভাবনা জোরালো। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দিয়ে শরিফুল ইসলামকে খেলাতে পারে টিম ম‌্যানেজমেন্ট।  বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ঘোষণা দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবে না। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল এই টেস্ট জিতে আইসিসি টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের অবস্থান আরও জোরালো করতে চায়।