গল টেস্টের প্রথম দিন নায়ক নাথান লিয়ন। ২০১৬ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে ১৬ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার প্রথম দিন পেয়ে গেলেন পাঁচ উইকেট। তার স্পিনে বিপাকে পড়া শ্রীলঙ্কাকে অবশ্য উদ্ধার করেছেন নিরোশান ডিকবেলা। সাহসী ও চমৎকার পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকদের এনে দেন সম্মানজনক সংগ্রহ।
চা বিরতির পর ফিরে আধঘণ্টার মধ্যে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ২১২ রান করে তারা। জবাবে রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেটে ৯৮ রানে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা, প্রথম ইনিংসে তারা এখনও ১১৪ রানে পিছিয়ে।
লিয়নের সঙ্গে অন্য প্রান্তে মিচেল সুয়েপসন ঘূর্ণি জাদু দেখান। দুজনে মিলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেট। বাকি দুটি গেছে দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের পকেটে।
১৭তম ওভারের মধ্যে ৪২ রানে পাথুম নিশানকা (২৩) ও কুশল মেন্ডিসকে (৩) মাঠছাড়া করেন কামিন্স ও স্টার্ক। তারপর শুরু হয় স্পিনারদের দাপট। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেকে (২৮) ডেভিড ওয়ার্নারের চমৎকার ক্যাচ বানান লিয়ন। ৩৭তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৪) ও দিনেশ চান্ডিমালকে (০) পরপর ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন সুয়েপসন। বাধা হয়ে দাঁড়ান ডিকবেলা।
৯৭ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধার করেন ডিকবেলা। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও প্যাভিলিয়নে ফিরতে দেখেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (৩৯) ও রমেশকে (২২)। ৫৯ বলে ৬ চারে ৫৮ রানের সেরা ইনিংস খেলে লিয়নের শিকার তিনি। ডিকবেলা যখন ফিরে যান, দল তখনও দুইশ থেকে ২ রান দূরে। অবশ্য লাসিথ এম্বুলদেনিয়া (৬) ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসে (৬) দলীয় স্কোর দুইশ পার করেন।
লিয়ন ২৫ ওভারে ৯০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে ২০ বা তার বেশি ফাইফারের কীর্তি গড়লেন এই স্পিনার। একই সঙ্গে নিউ জিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলিকে (৪৩১) পেছনে ফেলে টেস্টের শীর্ষ বোলারের তালিকায় ১২তম স্থানে তিনি। তিনটি পান সুয়েপসন।
জবাব দিনে নেমে ওয়ার্নার বেশ গতিময় ব্যাটিং করেন। ২৪ বলে ৫ চারে ২৫ রান করে রমেশের কাছে এলবিডব্লিউ হন। এই স্পিনারের শিকার হন মার্নাস লাবুশেনেও (১৩)। দুর্ভাগ্যবশত স্টিভেন স্মিথ (৬) রান আউট হন। ওপেনার উসমান খাজা ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন, অন্য প্রান্তে নেমে ৬ রান করেছেন ট্র্যাভিস হেড।