খেলাধুলা

যেভাবে ভারতে হলো ভুয়া আইপিএল

আইপিএলের ২০২২ আসর শেষ হয়েছে দেড় মাস হতে চললো। এমন সময় ভারতের গুজরাটের মহীসেনার মলিপুর গ্রামের এক খামারে শনাক্ত হয়েছে ভুয়া আইপিএল। যেটা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গড়িয়েছিল। অত্যাধুনিক আয়োজনে ম্যাচ প্রতি ৪০০ রুপি মজুরিতে সেখানে খেলছিলেন ওই খামারের শ্রমিকরা।

মূলত রাশিয়ান কিছু জুয়াড়ির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই আয়োজন করা হয়েছিল অভিনব ও ভুয়া এই আইপিএল। যেটা পুরোটাই ছিল সুনিপুনভাবে পরিকল্পিত। গুজরাটের পুলিশ এই ঘটনায় ইতোমধ্যে চারজনকে আটকও করেছে।

টাকা হাতিয়ে নিতে ভুয়া এই আইপিএল আয়োজন করে শোয়েব দাবদা নামের এক জুয়াড়ি। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন তাকে এই কাজে উৎসাহিত এবং সহায়তা করেছে আরও চারজন। তারা মিলে খামারটি ভাড়া করে। এরপর ক্যামেরা ভাড়া করে, হার্শা ভোগলের নকল করতে পারেন এমন ধারাভাষ্যকার আনা হয়, মাঠ প্রস্তুত করে, চেন্নাই সুপার কিংস-মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটান্সের জার্সি কিনে, ২১ জন খামারের শ্রমিককে প্রস্তুত করে, প্রস্তুত করে আম্পায়ারদেরও।

এরপর মাঠে বসানো হয় পাঁচটি ক্যামেরা এবং তার মাধ্যমে প্রতিটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ইউটিউবে। আম্পায়ারদের হাতে দেওয়া হয় ওয়াকি-টকি। মাঠে খেলে খামারের শ্রমিকরা, চার-ছয় হলে দর্শকদের উল্লাস বাজানো হয়, চলে চলতি ধারাভাষ্য।

টেলিগ্রামের মাধ্যমে এই ম্যাচের জন্য বাজি ধরতো রাশিয়ান জুয়াড়িরা। তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো শোয়েব। শোয়েব ও তার সঙ্গীরা ওয়াকি-টকির মাধ্যমে আম্পায়ারদের নির্দেশনা দিতেন। আর আম্পায়াররা মাঠে খেলতে থাকা শ্রমিক খেলোয়াড়দের আউট হওয়া, চার মারা কিংবা ছক্কা মারার নির্দেশ দিতেন। বোলারদেও সেভাবে বল করতে বলতেন যাতে চার কিংবা ছয় হয়। আবার ক্যাচ মিসের নির্দেশও দিতেন শোয়েবের পাঠানো নির্দেশ অনুযায়ী। তাতে করে রাশিয়ান জুয়াড়িরা টাকা হারাতেন বাজি ধরে।

ভারতের গুজরাটের এই ভুয়া আইপিএল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।